শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

সৈয়দপুরে টাকা দিয়েও মিলছেনা ভূমি অফিসের সেবা

মোঃ জাকির হোসেন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) : নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা ভূমি অফিসসহ ইউনিয়ন ভূমি অফিস সমুহে খাজনা, খারিজ, নামজারীসহ ভূমি সংক্রান্ত নানা কাজে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জমি মালিকরা। সরকার নির্ধারিত টাকার চেয়েও কয়েকগুন বেশি টাকা খরচ হলেও যথাসময়ে কাজ না হওয়ায় হয়রানীতে পড়েছেন উপজেলাবাসী। প্রায়ই ধর্না দিতে হয় সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারীদের কাছে। এ নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এমনি এক অভিযোগে সৈয়দপুর ইসলামী ব্যাংকের সহকারী ম্যানেজার মোঃ সেকেন্দার আলী জানান, তিনি তার জমির নামজারীর জন্য তার পূর্ব পরিচিত উপজেলা ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মোঃ সাইদের শরানাপন্ন হন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তার সাথে দেখা করলে তিনি (সাইদ) ৪ হাজার টাকার বিনিময়ে কাজটি দ্রুত করে দেয়ার আস্বাস দেন। চাকুরীর ব্যস্থতার কারণে সময় দিতে না পারায় তিনি সাইদকে টাকা ও কাগজ বুঝিয়ে দেন। কিন্তু দীর্ঘ ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও সাইদ নামজারীর কাজ সম্পন্ন করে দেননি। ফলে তিনি চাপ দেয়ায় সাইদ এখন তাকে জানায় তার দেয়া ওয়ারিশান সদনটির মেয়াদ ৩ মাস পার হয়ে যাওয়ায় আবারও নতুন করে ওয়ারিশান সনদ দিতে হবে। এতে তিনি চরম বেকায়দায় পড়েছেন। একদিকে নামজারীর জন্য সরকার নির্ধারিত ফি ১ হাজার ১৫০ টাকা ও ফরম বাবদ ২০ টাকার স্থলে প্রায় ৩ গুন বেশি টাকা দেয়ার পরও তার কাজ নির্দিষ্ট সময়ে সম্পন্ন করাও যেমন সম্ভব হয়নি তেমনি কাজ না হওয়া নিয়েও দেখা দিয়েছে জটিলতা এবং একই কাজ বার বার করার হয়রানী। এ ব্যাপারে ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মোঃ আবু সাইদ এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, সেকেন্দার আলী তার কাগজপত্র আমাকে জমা দিয়ে গেছেন। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে তার কাজটি আজও হয়নি। তার ওয়ারিশান সার্টিফিকেটটির ৩ মাস মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তাই নতুন ওয়ারিশান সার্টিফিকেট দিলে দ্রুতই নামজারী করে দেয়া হবে। তিনি টাকার বিষয়ে বলেন, কাজ করতে গেলে তো কিছু টাকা নিতেই হয়। তবে তিনি যে ৪ হাজার টাকা বলেছেন তা সঠিক নয়।
এভাবেই আবু সাইদ সহ অন্যান্য কর্মচারীরাও ভূমি অফিসে আসা ব্যক্তিদের কাজ করে দেয়ার নামে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে তাদের হয়রানী করে চললেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় তাদের অপতৎপরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ভুক্তভোগীরা আরও বেশি জটিলতায় পড়তে পারেন এমন আশংকায় ভোগান্তির শিকার হয়েও কারও কাছে অভিযোগ দিতে বা মুখ খুলতে ভয় পান। এই সুযোগে আবু সাইদরা দিনের পর দিন তাদের তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন দেদারছে। অনেকের প্রশ্ন এই আবু সাইদরা কিসের জোড়ে এমন কর্ম করে যাচ্ছেন। তাদের খুটির জোড় কোথায়? এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রমিজ আলম জানান, আমার অফিসে সিসি ক্যামেরারও প্রয়োজন নেই। আমার অধিনস্তদের তদারকির জন্য আমি নিজেই সিসি ক্যামেরা। এখানে কোন ধরণের অনিয়ম হলে তা অবশ্যই আমার নজরদারীতে আসবে। অনেক ধরনের কথাই আমি শুনি, কিন্তু লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ