শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ফুটবলাররা এখন যে জার্সিতে অনুশীলন করে আমরা তা ম্যাচেও পাইনি : সালাউদ্দিন

 স্পোর্টস রিপোর্টার : সাবেক তারকা ফুটবলার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন জাতীয় দলের মানোন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

প্রধান কোচ জেমি ডে’সহ ৫ বিদেশী সহকারী কোচ, গোলরক্ষক কোচ, ফিজিও এবং ফিটনেস কোচ আছেন জাতীয় দলের অনুশীলনে। নিয়োগপ্রাপ্ত আরেকজন ম্যাচ বিশ্লেষক- যিনি লন্ডন থেকেই জামাল ভূঁইয়াদের খেলা পর্যবেক্ষণ করবেন। বিদেশীদের সঙ্গে স্থানীয় আরও দুইজন কোচ কাজ করছেন। পূর্ণাঙ্গ ও শক্তিশালী কোচিং স্টাফ দিয়েই জাতীয় দলের অনুশীলন করাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এটা অবশ্য নতুন নয়, বেশ কয়েকবছর ধরেই জাতীয় দলের ইংলিশ কোচিং স্টাফের পেছনে কাড়িকাড়ি অর্থ ঢালছে বাফুফে।যদিও কাঙ্খিত ফলাফলের দেখা মেলেনি এখনো।কাজী মো. সালাউদ্দিন আর আবদুস সালাম মুর্শেদিরা যখন লাল-সবুজ জার্সিতে খেলেছেন তখন এত সুযোগ সুবিধা পাননি। কথাটি বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন প্রায়ই বলে থাকেন। যা আরও একবার বললেন এ কিংবদন্তি ফুটবলার। গতকাল রোববার বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাফুফে সভাপতি অতীত ও বর্তমান জাতীয় দলের সুযোগ-সুবিধার মধ্যে তুলনা দিয়ে বলেন, ‘জাতীয় দলের অনুশীলন দেখতে গিয়েছিলাম। এখন ছেলেরা যে জার্সি গায়ে অনুশীলন করে, এমন জার্সি আমরা ম্যাচের সময়ও পেতাম না।

আমাদের সময় অনুশীলনের জন্য মাত্র দুটি বল থাকত। একটি দিয়ে অনুশীলন, আরেকটি দিয়ে অনুশীলন ম্যাচ খেলতাম।’ জাতীয় দলের পারফরম্যানস পাওয়ার লক্ষ্যে বাফুফের প্রচেষ্টা সর্বোচ্চ। কোনো টুর্নামেন্ট বা আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের বিদেশি কন্ডিশনিং ক্যাম্প করানো হয়।এমন সুযোগ-সুবিধা অতীতের ফুটবলাররা পাননি। বাফুফে সভাপতি খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার বিপরীতে তাদের কাছ থেকে ভালো পারফরম্যান্স চেয়েছেন।তিনি বলেছেন , ‘সব খেলোয়াড় খেলতে যায় জেতার জন্য। কোনও ম্যাচ প্রেসিডেন্ট কিংবা কমিটির কেউ জেতাতে পারবে না। খেলতে হবে খেলোয়াড়দের।

আমার মনে হয় এখন ওদেরকে বলার সময় এসেছে। ওদেরকে(খেলোয়াড়দের) কী সুবিধা দেওয়া হয়, তা দেখেছেন। এখন ওরা যেন পারফর্ম করে।’এদিকে কলকাতা মোহামেডানে খেলতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। সালাউদ্দিন বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন, ‘কোনও সমস্যা নেই। আমি তো চাই আমার খেলোয়াড়রা বিদেশে খেলুক। যা আমার অন্যতম স্বপ্ন। বাংলাদেশী খেলোয়াড়রা এশিয়ার সব জায়গায় খেলুক।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ