মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

সূচকের বড় উত্থানে শুরু হলো সপ্তাহের প্রথম দিনের লেনদেন

স্টাফ রিপোর্টার : সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। তবে দুই বাজারেই কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এদিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানির পরিচালকরা সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাদেরকে আরও এক মাস সময় দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
গতকাল রোববার লেনদেনের শুরুতেই মূল্য সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার আভাস পাওয়া যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় লেনদেন শুরুর ১৩ মিনিটের মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচক ২২ পয়েন্ট পড়ে যায়। লেনদেনের শেষ দিকে এসে এই উত্থান প্রবণতা আরও বাড়ে। দাম বাড়তে থাকে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫০ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৮৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৭০০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১১০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সবগুলো সূচকের এই উত্থানের দিনে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২০৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ৮১টি এবং ৭৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭৮৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৯৬৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। সেই হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১৭৮ কোটি টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা শেয়ার। কোম্পানিটির ৭৪ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এশিয়া প্যাসেফিক ইন্স্যুরেন্সের ৩৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২০ কোটি ৫৭ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- গ্রামীন ওয়ান: স্কিম টু, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, এডিএন টেলিকম, পিপলস ইন্স্যুরেন্স এবং পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৫৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৩৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। সেই হিসাবে লেনদেন কমেছে ৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। লেনদেন কমার দিনে বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২৬৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬১টির এবং ৪৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানির পরিচালকরা সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাদেরকে আরও এক মাস সময় দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাব রুল (২) এবং রুল ৪ মতে, কোম্পানির বিদ্যমান উদ্যোক্তা পরিচালক ও প্রস্তাবিত পরিচালকদের কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ন্যুনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। আইনের এই ধারা অনুযায়ী, গত জুলাইয়ে তালিকাভুক্ত প্রতিটি কোম্পানির পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে ৬০ কার্যদিবসের আল্টিমেটাম দিয়েছিল বিএসইসি। এই ৬০ কার্যদিবসের গণনা শুরু হয় গত ২৯ জুলাই থেকে। আর শেষ হয় গত ২৭ অক্টোবর। তবে এ সময় শেষ হওয়ার আগেই কয়েকটি কোম্পানি সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করেন। আবেদনে সাড়া দিয়ে তাদেরকে আরও এক মাস সময় দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএসইসির মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, যে কোম্পানিগুলোর পরিচালকরা এখনো সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে পারেনি, তাদেরকে আরও এক মাস সময় দেয়া হয়েছে। এ-সংক্রান্ত চিঠি ইতিমধ্যে ইস্যু করা হয়েছে।
বিএসইসির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিএসইসি ব্যর্থদের আরও এক মাস সময় দিয়েছে। তবে এরপর আর সময় দেয়া হবে না। কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হলে সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ