বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

রংপুরের স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার দুই নারী আসামীর জামিন বাতিল আরও ২ আসামী গ্রেফতার

রংপুর অফিস: রংপুরের চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার দুই নারী আসামীর জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এদিকে এই মামলায় আরও ২ আসামী গ্রেফতার করেছে পিবিআই। ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলামকে বিভাগীয় প্রক্রিয়ার কারনে এখনও গ্রেফতার দেখানো হয়নি। তবে তাঁকে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মহানগরীর রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানার ময়নাকুঠি ক্যাদারের পুল এলাকার এক ভাড়াটিয়া বাড়িতে গত ২৫ অক্টোবর রোববার সন্ধায় প্রেমের প্রলোভনে এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ করে রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম। ধর্ষিতার পিতা আয়নাল হক এ ব্যাপারে হারাগাছ থানায় একটি মামলা করেছে। ইতোমধ্যে তাকে গ্রেফতার এবং বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান ষ্টপ ক্রোইসিস সেন্টারে  চিকিৎসাধীন রয়েছে। মামলাটি অধিকতর তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) এর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঐ মামলার আটক মেঘলা এবং শম্পা নামে অপর দুই নারী আসামীকে রংপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করা হয়। মাননীয় আদালত আসামীদের জামিন আবেদন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়। এদিকে ঐ গণধর্ষণ মামলার আরও ২ আসামীকে পিবিআই গতকাল মঙ্গলবার ভোরে লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলোর র্পুব মাজাপাড়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে। এরা হচ্ছে, ঐ গ্রামের করি মাহমুদের পুত্র বাবুল হোসেন (৩৮) এবং পুর্ব থানা পাড়া এলাকার মৃত কাচু মিয়ার পুত্র আবুল কালাম আজাদ। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন পিবিআই এর একজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে এই ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এর আগে পিবিআই এ ঘটনার সহযোগী সুমাইয়া আক্তার মেঘলা  ওরফে আলেয়া এবং সুরভী আক্তার ওরফে শম্পাকে গ্রেফতার করেছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ