শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

শহরের মানুষের আয়-রোজগারের ব্যবস্থা থাকার পরও অনেকে গৃহহীন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: সমাজ বিকাশের ধারায় পুঁজিবাদী আগ্রাসন ও নগরায়নের প্রভাবে দেশের অনেক লোক এখন গৃহহীন হয়ে পড়েছে। অথচ বাবুই পাখিও নিপুণ কারুকাজে তাঁর বাসা বানিয়ে নেয়। সভ্যতার এত উন্নতি তারপরও মানুষকে তাঁর মৌলিক অধিকার বাসস্থানের জন্য ভবঘুরের মত ক্রমাগত স্থান পরিবর্তন করতে হচ্ছে। চট্টগ্রাম নগরীর বিরাট একটা জনগোষ্ঠীও আজ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। নগরীর অনেক জমি অধিগ্রহণ করেছে রেল ও বন্দর কর্তৃপক্ষ। বর্তমান সরকার মানুষের অন্য চার মৌলিক অধিকারের মত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বাসস্থান নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বৃহস্পতিবার সকালে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব বসতি দিবস ২০২০ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এবারের বিশ্ব বসতি দিবসের প্রতিপাদ্য হলো “সবার জন্য আবাসন : ভবিষ্যতের উন্নত নগর”।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানে অন্যান্যেদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, স্থপতি আবদুল্লাহ ওমর, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন আলী জয়, ব্র্যাক আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী এস এম মনিরুজ্জামান, মাঠ সমন্বয়কারী সুব্রত টুডুু, মনিটরিং অফিসার মো. মাসুম বিল্লাল, প্রশিক্ষক ইমতিয়াজ আরাফাত, কমিউনিটি আর্কিটেকট এইচ এম হোসেনুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রশাসক সুজন আরো বলেন, দেশের অন্যান্য এনজিও’র চাইতে ব্র্যাক ব্যতিক্রম। করোনাকালে তারা যে ভূমিকা রেখেছে তা অন্য এনজিওগুলোর জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। করোনা নির্ণয়ে পিসিআর টেস্ট ও দরিদ্র মানুষদের নগদ অর্থ সহায়তায় ৯৪ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা প্রদান করেছে। অথচ দেশে অনেক এনজিও লোক দেখানো কাজ করে বিদেশি ফান্ড এনে কার্যকর কিছু করে না। ব্র্যাকের সাথে চট্টগ্রামের দু’জন গুণী ব্যক্তি জড়িত। ওনারা এই প্রতিষ্ঠানকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ