শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

পাইকগাছায় কপোতাক্ষ নদ ভাঙ্গনে ৫ গ্রামের মানুষ আতঙ্কে

খুলনা অফিস : খুলনার পাইকগাছায় কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গনে দু’টি ইউনিয়নের ৫টি গ্রামের মানুষ আতঙ্কে। ক্ষতি হতে পারে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। ভেসে যাবে চিংড়ি ঘের, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, ফসলি জমি, কাঁচা ঘরবাড়ি ও মুরগি ফার্ম। বাঁধটি সাময়িক ভাবে ভাঙ্গন ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যন শেখ জাকির হোসেন লিটন ইউনিয়ানের কর্মসৃজনের দুইশ’ লোক নিয়ে কাজ করলেও তা কঠিন হয়ে পড়েছে। জানা যায়, উপজেলার হিতামপুর মৌজার ১৬নং পোল্ডারের কপোতাক্ষ নদের হিতামপুর স্লুইচ গেট সংলগ্ন এলাকায় গত রোববার ভোর রাতে ভাটার সময় হঠাৎ করে ভাঙ্গন শুরু হয়। কয়েক ঘন্টার মধ্যে নদের চরসহ ওয়াপদার বাঁধের বেশির ভাগ এলাকায় নদের গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। এলাকাবাসী ভাঙ্গনের বিষয়ে গদাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী জুনাইদুর রহমান ও প্যানেল চেয়ারম্যান জাকির হোসেন লিটনকে জানায়। তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীকে অবহিত করলে তিনি তৎক্ষনাৎ ওয়াপদার উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) ভাঙ্গন কবলিত স্থানে পাঠান।  প্যানেল চেয়ারম্যান জাকির হোসেন লিটন জানান, এ স্থানটি সংস্কারের জন্য কয়েক বার পানি উন্নায়ন বোর্ডকে বলেছি কিন্তু কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। এ দিকে ভাঙ্গন দেখাদেয়ায় কপিলমুনি ইউনিয়ানের আগড়ঘাটা, সিলমানপুর ও গদাইপুরের হিতামপুর, চরমলয়, মেলেকপুরাইকাটির মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছে।
পাইকগাছা উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরিদউদ্দীন বলেন, আমি ভাঙ্গন কবলিত স্থান পরিদর্শন করে উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী এবং আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি অচিরেই বাঁধের কাজ শুরু হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যাণার্জী জানান, কিছুদিন আগে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কাজ করেছি। একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে এ না গেলে কাজ করা সম্বব হবেনা। আমি এমপি মহদয়ের সাথে কথা বলেছি আমাদের একটি পরিকল্পনা রয়েছে ভিতর দিয়ে ৩শ’ মিটারের বিকল্প বাঁধ তৈরী করব। তবে বর্ষাকাল না গেলে সম্ভব হচ্ছে না।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ