ঢাকা,মঙ্গলবার 19 March 2024, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

প্রবাসীর স্ত্রীকে ব্ল্যাকমেইলিং করে তিন বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন তিনি

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: এবার টানা ৩ বছরের বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণের অভিযোগ একটি ব্যবসায়ীক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) বিরুদ্ধে। তার নাম আলী হোসেন (৬০)। তিনি পূর্বাশা গ্রুপের এমডি। এক ইতালী প্রবাসীর চাকরিজীবী স্ত্রী তার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগ করা হয়, আগের করা ভিডিওচিত্র প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে তাকে বারবার ধর্ষণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) এই তথ্য জানা গেছে।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) রাতে ইতালি প্রবাসীর ওই স্ত্রী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২০ এর ৯(১)সহ ৩১৩/৫১৬ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর-২৫)।

এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা বলেন, সোমবার রাতে এক নারী ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। সেটির তদন্ত চলছে। আসামিকে এখনও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলার এজাহারে ওই নারী উল্লেখ করেছেন, তিনি আর এ কে গ্রুপের স্টার সিরামিক্স কোম্পানিতে সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগে চাকরি করতেন। গার্মেন্টস পণ্য প্রতিষ্ঠান পূর্বাশা গ্রুপের এমডি আলী হোসেন ওই কোম্পানির করপোরেট গ্রাহকদের মধ্যে একজন। সেই সূত্রে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর ২০১৮ সালের ১৯ জুন প্রথম ৭ নম্বর সেক্টরের লেক ড্রাইভ রোডের ৬৮ নম্বর বাসার ষষ্ঠ তলায় বিকেল ৫টায় সাক্ষাৎ হয়। ওইদিন কথা বলার একপর্যায়ে তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এরপর ওই নারী পড়ে গিয়ে পায়ে আঘাত পেয়ে আহত হলে এ সময় আলী হোসেন ওই নারীকে ধর্ষণ করেন।

২০১৮ সালের ৫ জুলাই ওই নারীকে ফোন করে জানায়, ১৯ জুনের ঘটনার ছবি ও ভিডিও করা হয়েছে। কথামতো না চললে তার কাছে থাকা নগ্ন ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবেন। এরপর ২০১৮ সালের ২১ জুলাই তার অফিসে গিয়ে শারীরিক অবস্থা খারাপ জানালে তাকে হাসপাতালে নিয়ে টেস্ট করালে প্রেগনেন্সি পজিটিভ ধরা পড়ে। এরপর চাপ দিয়ে গর্ভপাত করায় আলী হোসেন।

একই বছরের ১৬ ডিসেম্বর বিকেল ৫টায় পুনরায় ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ফের ধর্ষণ করে। এরপর ২০১৯ সালের ১ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে ছবি ও ভিডিও প্রবাসী স্বামীর কাছে পাঠানোর ভয় দেখিয়ে আবার ধর্ষণ করে।

এ ঘটনার পর ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট প্রেগনেন্সি পজেটিভ ধরা পড়লে আবারও জোর করে গর্ভপাত করায় আলী হোসেন।

এরপর চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টায়, ৬ মার্চ ও ১৩ মার্চ সাড়ে ৪টায় ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর তার কথামতো না চলায় প্রায় সময়ই বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন আলী হোসেন। তার কাছে থাকা ছবি ও ভিডিও প্রবাসী স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে।

এ বিষয়ে ধর্ষণের শিকার ওই নারী বলেন, তিন বছর যাবত ব্যাবসায়ী আলী হোসেন আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে আসছে। আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত শারীরিক নির্যাতন করেছে সে। আমি তার গ্রেপ্তার চাই এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

ডিএস/এএইচ

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ