শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

স্ত্রীর পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে মৃত্যুর মুখে স্বামী

ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) সংবাদদাতা : চাকরি করবেন স্ত্রী। তাই স্বামীর কাছে দাবি ৭ লাখ টাকা। না হলে আর ফিরবে না স্বামীর ঘরে। টাকার জন্য নিরীহ স্বামীকে বারবার দিচ্ছিলেন প্রস্তাব। অসহায় স্বামীর পক্ষে সম্ভব ছিল না স্ত্রীর অযৌক্তিক দাবি পূরণ করা। ৭ লাখ টাকা দিতেও পারেন নি আর স্ত্রীকেও আনতে পারেননি নিজের ঘরে। অধরাই থেকে গেছে স্ত্রীকে নিয়ে সুখের সংসার করার স্বপ্ন। চতুর স্ত্রীও বসে থাকেনি। প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর স্বামীকে শায়েস্তা করতে উঠে পড়ে লাগেন। পাতেন ফাঁদ। আগ্নেয়াস্ত্র’র মুখে জিম্মি করে সন্ত্রাসী গুন্ডা বাহিনী দিয়ে পিটিয়ে মৃত্যুর দুয়ারে পাঠিয়ে গুরুতর আহত করে স্বামীকে। নিরীহ স্বামী এখন ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র বেডে মৃত্যুর প্রহর গুণছেন। লোমহর্ষক এমন ঘটনায় আতংকিত হয়ে পড়েছে গোটা পরিবার। লিখিত অভিযোগে প্রকাশ, ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ গ্রামের ইদ্রিস আলীর পুত্র সালাম দফাদার’র প্রায় দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় পাশের গ্রাম টলটলি পাড়ার বৈদ্যনাথতলার হাশেম দেওয়ানের কন্যা চম্পা খাতুন’র সাথে। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সাথে তার বনি-বনা হচ্ছিল না। মান অভিমান করে স্বামীর ঘর থেকে প্রায়শই চলে আসতো চম্পা। এরই মধ্যে স্ত্রী চম্পা চাকরি করার জন্য স্বামীর কাছে দাবি করে বসে ৭ লক্ষ টাকা। কিন্তু স্বামীর পক্ষে এতো টাকা দেয়া সম্ভব ছিল না। ৩১ জুলাই স্বামীর ঘর থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৪ লক্ষ টাকার সম্পদ নিয়ে মায়ের বাড়ি চলে যায় সে। এ বিষয়ে থানায় মামলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয় স্ত্রী চম্পাসহ তার বাবা মা’সহ ৪ জনের কাছে। এতে নমনীয় হয় চতুর স্ত্রী চম্পা। সে যোগাযোগ শুরু করে। মামলা না করে আবারো সুখের সংসার করার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন নিরীহ স্বামী সালাম। আবারো যোগাযোগ করে চতুর স্ত্রী। এরপর স্বামীর ঘরে ফিরে যাবে এমন প্রতিশ্রুতি দেয় সে। গত ১০ অক্টোবর সকালে স্বামীকে বাড়িতে আসতে বলে। জানায় সে এলে তার সাথেই ফিরে যাবে স্বামীর গৃহে। নিরীহ স্বামী সরল বিশ্বাসে স্ত্রীর পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে শ্বশুর বাড়ি যায়। এরপর কৌশলে ঘরে ঢুকিয়ে দেয়। স্ত্রী বাহিরে থেকে শিকল দিয়ে ঘরের মধ্যে বন্দী করে ফেলে স্বামী সালামকে। আর ঘরের ভিতর খাটের নীচে আগে থেকেই লুকিয়ে ছিল স্ত্রী চম্পা’র ভাই রতন, স্থানীয় সন্ত্রাসী বিল্লাল, ছোটন, পিয়াস। তারা হাতুড়ি, পাইপ দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে স্বামীকে জ্ঞানশূন্য করে ফেলে।
হাসপাতালের বেডে মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকা সালাম দফাদার জানান, ওই সন্ত্রাসীরা পূর্ব থেকেই ঘরে থাকা খাটের নীচে লুকিয়ে ছিল। তাদের হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। তারা আমাকে গুলী করে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে হাতুড়ি, রড, পাইপ দিয়ে বেধড়ক পিটাতে থাকে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ