শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

যমুনার শাখা মুনা নদী খনন কাজ শুধু পিছিয়ে যাচ্ছে

টাঙ্গাইল ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি : কোনভাবেই শুরু করা যাচ্ছে না যমুনা নদী খননের (ড্রেজিং) কাজ। নানা কারণে শুধু সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। এদিকে সময় গড়ানোর সাথে সাথে প্রকল্পের ডিজাইন পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে সহজেই অনুমেয় এই প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে অনেকগুণ। এটি যমুনার একটি শাখা।
জানা গেছে, টেন্ডার প্রক্রিয়ায় বিলম্বের  কারণে গত বছর খনন(ড্রেজিং)করা সম্ভব হয়নি, চলতি বছর এখনও শুরু হয়নি টাস্কফোর্সকর্তৃক যৌথ প্রি ওয়ার্ক, অথচ এই কাজর ডিজাইন শেষ হয়েছে তিন  বছর আগে। ওই সময় নদী যে অবস্থায় ছিল, বর্তমানে নদী সে  অবস্থায়নেই পলি পড়ে ভরাট হওয়া  জায়গার পরিমান বেড়েছে। এতে টেন্ডার অনুযায়ি যে পরিমান মাটিকাটার কথা, তার চেয়ে বেশি খনন করতে হতেপারে। আর এমনটি হলে ডিপিপি পুনঃমূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেবে। ফলে বৃদ্ধি  পাবে প্রকল্পব্যয়। জানা যায়, এই প্রকল্পের ঠিকাদাররা ড্রেজিং করারজন্য ড্রেজারসহ তাদের সকল প্রস্তুতি  ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করেছেন। টেন্ডার অনুযায়ি আটটি প্যাকেজে৯ দশমিক ১২ কিলোমিটার নদী ড্রেজিং করতেহবে। গত বছর এই প্রকল্পের সবগুলো টেন্ডার একত্রে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। ফলে টাস্ক ফোর্সথেকে বলা হয়েছিল, পৃথকভাবে কাজ না করেএকত্রে শুরু করার জন্য।সে মোতাবেক গত বছরনদী ড্রেজিং করা হয়নি। চলতি বছর একত্রে শুরুকরা যাচ্ছেনা যৌথ প্রি ওয়ার্ক না হওয়ার কারণে।ঠিকাদাররা বলছেন, ড্রেজিং করার জন্য  ড্রেজারসহ তাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। এক্ষেত্রে কাজ শুরুকরতে বিলম্ব হলে তাদের পক্ষে যথাসময়ে ড্রেজিংসম্পন্ন করাটা কঠিন  হয়ে দাঁড়াবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, যমুনা নদীড্রেজিং প্রকল্পের জন্য দু’টি প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরাহয়েছে ৫৩৫ কোটি টাকা। চলতি বছরের মধ্যে এইকাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা। যার প্রথমটি হচ্ছে- ২১৫ কোটি টাকা এবং দ্বিতীয়টি ৩২০ কোটি টাকা।এই ড্রেজিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- যমুনার মাঝবরাবর ক্ষীনকায় পানির প্রবাহকে ড্রেজিংয়েরমাধ্যমে সচল করা। আর নদীর তীরের কাছে যেচ্যানেলটি রয়েছে তা ভরাট করে ফেলা। এতে করেযমুনা নদী ভাঙ্গন রোধ পাবে এবং ক্ষয়ক্ষতিরপরিমান কমে যাবে। তদুপরি, মাঝখান দিয়ে পানি যমুনা নদী  প্রবাহিত হলে উভয় তীরের সম্পদ রক্ষাপাবে।
জানা যায়, প্রথম প্রকল্পের প্রতিরক্ষা কাজ কাউলিবাড়ী হতে শাখারিয়া পর্যন্ত ৩ কিলো মিটারইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্পের ৩দশমিক ৪ কিলোমিটার ড্রেজিংয়ের কাজ ঠিকাদাররাশুরু করতে পারবে প্রি ওয়ার্ক সম্পন্ন হওয়ারপরই। দ্বিতীয় প্রকল্পের ৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা কাজের মধ্যে ১ দশমিক ৫ কিলো মিটারসম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ চলতি বছর সম্পন্নকরার কথা। আর টাস্কফোর্স কর্তৃক যৌথ প্রি ওয়ার্ক সম্পন্ন হলে ৬ দশমিক ১২ কিলোমিটার নদী ড্রেজিংংয়র কাজ শুরু হবে। দু’টি প্রকল্পে ৯দশমিক ১২ কিলোমিটার  ড্রেজিংয়ের কাজের শুরু টাপিংনা এবং শেষ হবে বঙ্গবন্ধু সেতুর সন্নি কটে অর্জুনা নামক স্থানে এসে। এ ব্যপারে টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী  মুহাম্মদ  সিরাজুল ইসলাম বলেন,  সহসাই যমুনা নদীড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হওয়া প্রয়োজন।ঠিকাদাররাও ড্রেজিং করার জন্য ড্রেজারসহ তাদেরসকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করেছেন।যথাসময়ে খনন কাজ শুরু করা না হলে চলতিবছর এই কাজ সম্পন্ন করাটা কঠিন হয়ে যাবেবলে তিনি জানান। এদিকে ড্রেজিং প্রক্রিয়া শুরু করা না গেলে কাজিপুরের ৩২ তম নদী বন্দর প্রতিষ্ঠার কাজও বাধাগ্রস্ত হবে। ঘোষনার দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখন এই প্রকল্পের জোরদার কোন কাজ পরিলক্ষিত হয়নি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ