শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

যমুনার তীব্র স্রোতে বিলীন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পাঁচঠাকুরী গ্রামের মসজিদটি

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি : যমুনার তীব্র স্রোতে বিলীন হয়ে যায় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের পাঁচঠাকুরী গ্রামের মসজিদটি। শত চেষ্টা করেও মসজিদটি রক্ষা করা গেল না। যমুনার তীব্র স্রোতে শনিবার সকালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের পাঁচঠাকুরী গ্রামের মসজিদটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলে মসজিদটি রক্ষার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। স্থানীয়দের মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত জুলাই মাসে মসজিদটি ভাঙনের কবলে পড়ে। সে সময় বালুর বস্তা ফেলে মসজিদটি  রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছিল। এদিকে, তিন দিন ধরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। কাজীপুর পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে যমুনার তীব্র স্রোতে মসজিদটি নদীতে বিলীন হয়ে যায়।’ গত জুলাইয়ে বন্যায় সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের ১৫০ মিটার শিমলা স্পার বাঁধ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। একই সঙ্গে শতাধিক ঘরবাড়ি, বসতভিটা ও গাছপালা মুহূর্তের মধ্যে নদীতে বিলীন হয়। সে সময়ই ভাঙনের মুখে পড়ে মসজিদটি।
ফের ডুবে গেছে নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘর
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ফের ডুবে গেছে নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘর। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার সাত সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষাবাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় যমুনার পানি ১৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যেকোনো সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
পানি বৃদ্ধির ফলে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হয়ে আবারও বন্যার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। এসব অঞ্চলে ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি ভাঙন দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে জেলার কাজীপুর, এনায়েতপুর ও চৌহালীতে নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর পয়েন্টে সাত সেন্টি মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষাবাঁধ হার্ড পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩০ সেন্টি মিটার।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ (পওর) শাখার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) এ কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাজীপুর পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। যেকোনো সময় শহর রক্ষাবাঁধ এলাকায় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। তবে পানি বৃদ্ধি পেলেও বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ