নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা নাশকতা কিনা তদন্ত করে দেখা হবে -ওবায়দুল কাদের
স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে নাকি নাশকতা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হবে।
গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু বাঙালির চেতনার বাতিঘর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের সংসদ সদস্য হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মো. জালাল উদ্দিন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, মসজিদে এসি বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দগ্ধদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেয়ার নির্দেশ ও সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। এ ঘটনায় হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে তাদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে তিনি বলেন, ইউরোপ, আমেরিকাসহ যে সব দেশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছিল, আবারও তারা বাধ্য হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হবে। হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিভিন্ন দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরিবেশ অনুকূলে এলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাই। প্রধানমন্ত্রী নিজেই সার্বিক পরিস্থিতিতে নজর রাখছেন, তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। পরিস্থিতি অনুকূলে এলেই তা খুলে দেওয়া হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাই এ নিয়ে শৈথিল্য দেখানোর সুযোগ নেই। সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়েও রাজনীতি আছে। শিক্ষক রাজনীতি আছে, ছাত্র রাজনীতি আছে। কিন্তু এর স্বতন্ত্র চরিত্র আছে। জীবিকা নয়, জীবনের জন্যই শিক্ষা প্রয়োজন, এই বাস্তবতা শিক্ষার্থীদের উপলব্ধি করতে হবে। আমরা মানবিক মানুষ চাই, অনুভূতিহীন রোবট নয়। পরীক্ষার্থী নয়, শিক্ষার্থী চাই। চাই যুগোপযোগী ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তুলতে। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করবে। তাই শিক্ষকদের এদিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানাই। কোনও অবস্থাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয়করণ করবেন না। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হতে পারে, এভাবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলুন।’