শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

রিমান্ডের আসামীদের না নিয়েই ফেরত গেলো র‌্যাব

কক্সবাজার সংবাদদাতা: অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিদের কারাগার থেকে না নিয়েই ফেরত গেল র‌্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার ১৩ ই আগস্ট সকাল ১১টায় কক্সবাজার জেলা কারাগারে গিয়েছিলেন মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাবের একদল সদস্য। তারা দীর্ঘক্ষণ জেল সুপারের কার্যালয়ে বসে ছিলেন এবং কথা বলেছেন। এরপর তাদের আসামিদের না নিয়েই ফিরে যেতে দেখা গেছে। 

চ্যাঞ্চল্যকর এহত্যা মামলায় আসামিদের না নিয়ে কেন ফেরত গেলেন তার কারণও জানা যায়নি। এ বিষয়ে জানতে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র লে. কর্নেল আশিককে ফোন করলে তিনি একটি মিটিংয়ে আছেন বলে পাল্টা খুদে বার্তা পাঠান।

এর আগে জেলসুপার মোকাম্মেল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- আসামি নেওয়ার জন্য সাতটি গাড়ি ও ১০টি মোটরসাইকেল এসেছিল। আবার না নিয়ে কেন চলে গেল জানিনা। তিনি বলেন আমরা আসামিদের প্রস্তুত করে রেখেছিলাম। 

মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় পুলিশের বহিস্কৃত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও এসআই লিটন মিয়া গত ৮ ও ৯আগস্ট কক্সবাজার কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। এর ভিত্তিতে তদন্তকারী সংস্থার কর্মকর্তা এএসপি জামিল আহমেদ আসামীদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করে প্রতিজনকে ৭দিন করে বরাদ্দ দেন।

গত ১২ ই আগস্ট টেকনাফের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ এ আদেশ দেন। একই ঘটনায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া ফাড়ির বরখাস্ত আইসি লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে গত ৬ আগস্ট ৭ দিনের রিমান্ড আদেশ দেয় আদালত। 

চ্যাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামিদের কাউকে এখনো পর্যন্ত রিমান্ডে নেয়া হয়নি। গত ৩১ জুলাই পুলিশের গুলিতে খুন হন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক নিরাপত্তারক্ষী সেনা কর্মকর্তা মেজর (অব.) মো. রাশেদ খান। ঘটনায় তার বড় বোন শারমিন ফেরদৌস পুলিশের ৯ জনকে আসামি করে টেকনাফ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৫ আগস্ট হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার টেকনাফ থানার মামলা নম্বর ৯/২০২০ জিআর মামলা নম্বর ৭০৩/২০২০। মামলাগুলোর তদন্ত করছে র‌্যাব।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ