করোনা মুক্তির সনদ পেতে প্রবাসীদের হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
করোনা পরীক্ষা করে রোগী শনাক্ত নিয়ে এমনি গোটা দেশ সংকট ও বিপর্যয়ে। এরই মধ্যে ভোগান্তির শিকার প্রবাসী কর্মস্থলে গমনেচ্ছু অভিবাসীরা। কোভিড সনদ নিয়ে আটকেপড়া প্রবাসীদের হয়রানি, উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার নিন্দা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে দেশের রেমিটেন্স যোদ্ধাদের হয়রানি থেকে মুক্তি এবং সহজে করোনা মুক্তি সনদ পাওয়ার সহজ পন্থা নির্ধারণের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার দাবী জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারী মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন।
বিবৃতিতে জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, অভিবাসীদের পুনরায় কর্মস্থলে কিংবা বিদেশ যেতে কোভিড নেগেটিভ সনদ বাধ্যতা মূলক করেছে সরকার। বিদেশ যাত্রার ৭২ ঘন্টার মধ্যে মধ্যে সনদ নেয়ার বাধ্যতামূলক হওয়ায় অনেক প্রবাসীর গলার ফাঁস হয়ে উঠেছে। একটি করোনা নেগেটিভ সনদের জন্য পর পর তিন দিন হয়ে যাওয়া আসা,দীর্ঘ লাইন এবং রিপোর্ট পেতে বিলম্ব ইত্যাদির পরও গতকাল প্রায় ৩০ জন থেকে ৫০ জন প্রবাসী যাত্রী ফ্লাইট মিস করেছেন। সারা রাত অপেক্ষা করেও সনদ না পেয়ে বিদেশ যেতে পারেনি। চট্টগ্রামে মাত্র একটা প্রতিষ্ঠান ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিকে নমুনা পরীক্ষার দায়িত্ব দেয়া হয়। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাসপোর্ট ভিসা এবং বিমানের টিকেট দেখিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করার পর একমাত্র জেনারেল হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ করে ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর বহিরে চট্টগ্রামের আর কোন ল্যাবের রিপোর্ট গ্রহন যোগ্য নয়। আর এই রিপোর্ট পেলেই হচ্ছে না। বিআইটিআইডির রিপোর্ট প্রিন্ট কপি নিয়ে বিমান বন্দরে গেলেই হচ্ছে না। এই রিপোর্ট অনলাইনে থাকতে হচ্ছে। যাত্রীর কাছে থাকা প্রিন্ট কপির সাথে ইমিগ্রেহশন অফিসার অনলাইনের সনদ মিলিয়ে যথাযথভাবে পেলেই কেবলমাত্র যাত্রীকে বিদেশ যাওয়ার অনুমোদন দিচ্ছে। কোভিড সনদ নিয়ে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করতে হচ্ছে ৭২ ঘন্টা সময়ের মধ্যে। যাত্রীর নমুনা দেয়ার দিন থেকে বিমানে উঠা পর্যন্ত ৭২ ঘন্টা সময় হিসাব করা হচ্ছে। এর বেশী হলেও সনদ গ্রহন করা হচ্ছে না। ফলে কোভিড নেগেটিভ সনদ যোগাড় করে বিদেশ যাত্রা একটি কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন ভয়াবহ এক অনিশ্চয়তা বিদেশগামী রেমিটেন্স যোদ্ধাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুরো রাত সিভিল সার্জন অফিসে কাটিয়ে ও রিপোর্ট যাচ্ছে না। ফলে ফ্লাইট অফিসে কাটিয়ে ও রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ফ্লাইটে মিস করেছে ৩০/৫০ জন যাত্রী। প্রবাসের বিদেশ যাত্রীদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। অনেকে অকল্পনীয় ও অচিন্তনীয় এই ঘটনায় উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় ছিলেন। শত শত মানুষ রিপোর্ট পাচ্ছে না। ফলে শুধু প্রবাসী নয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বহু ট্রানজিট প্যাসেঞ্জার বিমানে ভ্রমণ করছেন। চট্টগ্রামের যাত্রীদের বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হতে হয়েছে।
জামায়াত নেতৃবৃন্দ, অবিলম্বে প্রবাসী রেমিটেন্সযোদ্ধাদের সহজ পন্থায় কোভিড সনদ প্রাপ্তি ও তাদের উদ্বেগ এবং উৎকন্ঠা মুক্ত করে হয়রানি বন্ধ ও বিদেশ যাত্রার পথ সুগম করার দাবী জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।