শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বাংলাদেশ-চায়না কোম্পানি গঠনে চুক্তি

স্টাফ রিপোর্টার: সৌর ও বায়ু শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড (রিনিউএবল) নামে কোম্পানি গঠনে চীন ও বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠান চুক্তি করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) মধ্যে জয়েন্ট ভেঞ্চার অ্যাগ্রিমেন্ট (জেভিএ) স্বাক্ষরিত হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হন এবং বক্তব্য দেন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিদ্যুৎ সচিব সুলতান আহমেদের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. বেলায়েত হোসেন, এনডব্লিওপিজিসিএল-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এম খোরশেদুল আলম এবং সিএমসি চেয়ারম্যান রুয়ান গুয়াং বক্তব্য দেন।
এতে বলা হয়, সরকারি মালিকানাধীন নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড এবং চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লি. (রিনিউএবল)’ শিরোনামে জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি (জেভিসি) গঠনের জন্য গত বছরের ২৭ আগস্ট একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। পরে গত ৮ জুন জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি গঠনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদিত হয়। যেখানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ৫০ শতাংশ করে শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন এক হাজার কোটি টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৬ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক ডিস্ট্রিবিউটেড জেনারেশনকে উৎসাহিতকরণের লক্ষ্যে নেট মিটারিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে। টিআর/কাবিখার মাধ্যমে সোলার হোম সিস্টেম প্রসারে সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘অ-কৃষি জমির অপ্রতুলতার জন্য সৌর শক্তি ব্যবহার করে বড় আকারের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা যাচ্ছে না। ছাদ সৌর বিদ্যুৎ এবং ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও বায়ু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়েও গৃহীত উদ্যোগসমূহ এগিয়ে চলছে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২৩ প্রকল্পের আওতায় এক হাজার ২২০ দশমিক ৭৭ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলমান রয়েছে। নানা উৎস থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগের ক্ষেত্রও প্রসারিত হয়েছে।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ