শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

দেশে আক্রান্তের ১০ গুণ বেশি মানুষের এন্টিবডি তৈরি হয়েছে -ডা. বিজন

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের পিক-টাইম চলছে বলে মন্তব্য করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ডা. বিজন কুমার শীল বলেছেন, ‘দেশের একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর মধ্যে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে। সেটা অত্যন্ত আনন্দের খবর।’ আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে দেশ করোনা থেকে মুক্ত হবে বলে তার ধারণা।
একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে নিজেদের একটি জরিপের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে পরিবারের একজন মানুষের ইনফেকশন হয়েছে, তিনি করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন, সে পরিবারের সব সদস্যের ভেতরে ভেতরে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে বলে আমাদের এক জরিপে পাওয়া গেছে। করোনার এই মহামারির সময়ে যেটি অত্যন্ত ভালো সংবাদ।'
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, যেই পরিবারে একজন আক্রান্ত হয়েছেন, সেই পরিবারের অন্য সদস্যের ভেতরে লক্ষণ-উপসর্গ মারাত্মক আকার ধারণ করেনি। মৃদু লক্ষণের ভেতর দিয়ে গিয়েছেন তারা এবং এর ভেতর দিয়েই তাদের শরীরে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে। এই চিত্র আমাকে আশান্বিত করেছে। আমাদের দেশে যত মানুষ করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন, তার ১০ গুণ বেশি মানুষের মধ্যে এন্টিবডি ফিরে এসেছে।'
এই চিকিৎসক বলেন, ‘দেশে ১৬ কোটি মানুষ, সেই হিসাবে একজন করে সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা মানুষের হিসাব করলে সেটা অনেক। যদিও সংখ্যাটা সার্ভে না করে নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না।'
এন্টিবডি টেস্টের পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার এবং এটি খুবই ভালো খবর মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি, এন্টিবডি টেস্ট হয়তো শুরু হবে। যদি সরকার পদক্ষেপ নেয়, কেবল রাজধানী ঢাকাতেও যদি এটা সার্ভে করা হয়, তাহলেও বোঝা যাবে কত মানুষের মধ্যে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে। এটা খুবই আনন্দের কথা।'
ডা. বিজন কুমার শীল কথা বলেন দেশের পিক টাইম নিয়েও। তার ভাষায়, ‘বাংলাদেশে এখন করোনাভাইরাসের পিক টাইম চলছে।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পিক যত দ্রুত হবে, তত দ্রুত আমরা সেখান থেকে নেমে আসবো এবং তত দ্রুত ইনফেকশন চলে যাবে।'
'সাধারণত কোথাও ব্যাপক এন্টিবডি গ্রো না হওয়া পর্যন্ত সেখানে পিক চলতে থাকে। যতক্ষণ পর্যন্ত সে ‘ভার্জিন হোস্ট’ পাবে, ততক্ষণ সে ইনফেক্ট করবে। আর যখন এন্টিবডি গ্রো সম্পন্ন একটা জনগোষ্ঠীকে সামনে পাবে, তখন সেটা ধীরে ধীরে স্থিমিত হয়ে আসবে, কমতে থাকবে এটাই নিয়ম, এটাই রীতি। 'যোগ করেন তিনি।
তাপমাত্রাসহ অন্যান্য পরিবেশগত কারণে দেশের আবহাওয়া করোনারভাইরাসের উপযোগী নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। আবহাওয়ার সঙ্গে করোনাভাইরাসের সম্পর্ক রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই রয়েছে। তাপমাত্রার সঙ্গে মানুষ, গাছপালা, পরিবেশ সবকিছুর সম্পর্ক রয়েছে। এটা থাকবেই। বাতাসে যদি হিউমিডিটি বেশি হয় তাহলে সে বেশিক্ষণ থাকতে পারে না, দ্রুত মারা যায়। অপরদিকে, ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় ভাইরাস দীর্ঘসময় থাকতে পারে যেটা আমাদের জন্য অবশ্যই প্লাস পয়েন্ট।'
'তবে যাদের অন্যান্য জটিল রোগ রয়েছে যেমন: কিডনি সমস্যা, ডায়াবেটিস, ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ তাদের জন্য একটু বেশি আশঙ্কার। ভাইরাসকে গ্রো করার জন্য সুযোগ দেওয়া যাবে না বলেন তিনি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ