মৃত্যু বেড়ে ৫ লাখ ৪০ হাজার
স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্বব্যাপী করুণায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৭ লাখ ৪০হাজার ১০০ জনের অপরদিকে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৪০ হাজারের বেশি।
করোনা নিয়ে আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এ তথ্য জানিয়েছে। তাদের দেয়া তথ্যমতে, করোনায় বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত সংক্রমণের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ১৭ লাখ ৪০ হাজার ১০০ জনে। অপরদিকে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪০ হাজার ৬৭৭ জন।
করোনায় সংক্রমণের দিক থেকে প্রথম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৬ লাখ ২৬ হাজার ৭১ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন এবং দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৬৫ হাজার ৫৫৬ জনের। আর এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯ লাখ ৭৮ হাজার ৬১৫ জন।
রাশিয়াকে টপকে তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসা ভারতে মোট ৭ লাখ ২০ হাজার ৩৪৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজার ১৭৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৪০ হাজার ১৫০ জন।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা রাশিয়ায় করোনায় সংক্রমণ হয়েছেন ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৮৬২ জন আর মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ২৯৬ জনের।
বিশ্বের সবচেয়ে পরাক্রমশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে সবচেয়ে বেশি নাকানি-চুবানি খাওয়াচ্ছে মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯)। সর্বোচ্চ আক্রান্তের দিক দিয়ে দেশটি শীর্ষে তো রয়েছেই, এখন সর্বোচ্চ আক্রান্তও হচ্ছে এই দেশটিতে। প্রতিদিনই নতুন করে ৪০ হাজারের ঘরে আক্রান্ত হচ্ছে করোনায়। তবে এবার একদিনেই আক্রান্ত অর্ধলাখ ছাড়াল। যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৫০ হাজার ৫৮৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে বলা হয়েছে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭৮ জন মারা। অর্থাৎ দেশটিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও মৃতের হার কমেছে। এ পর্যন্ত মোট মারা গেছেন এক লাখ ৩২ হাজার ৯৭৯ জন। আর মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।
দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে-৯ হাজার ৫৪ জন। এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা ও আরিজোনা অঙ্গরাজ্যে যথাক্রমে ৬৮৯১, ৬৩৩৬ ও ৩৩৫২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে একসময় আক্রান্তে প্রথমদিকে থাকা নিউইয়র্কে নতুন আক্রান্ত কমেছে-মাত্র ৫৮৩ জন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পরে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে ভারতে-২২ হাজার ৫১০ জন। এছাড়া ব্রাজিল, রাশিয়া, পেরু, চিলি, মেক্সিকো ও দক্ষিণ আফ্রিকায় যথাক্রমে ২১ হাজার ৪৮৬, ৬ হাজার ৬১১, ২ হাজার ৯৪৫, ৩ হাজার ২৫, ৪ হাজার ৬৮৩ ও ৮ হাজার ৯৭১ জন আক্রান্ত হয়েছেন।