শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

মহামারির মধ্যে কর্মবিরতির হুমকি মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের

বয়স উত্তীর্ণদের নির্বাহী আদেশে নিয়োগ, চাকরির শুরুতে দশম গ্রেডে বেতন দেয়া, নতুন পদ সৃষ্টি, অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় স্থায়ী নিয়োগের সুপারিশ বাতিল করাসহ বিভিন্ন দাবিতে গতকাল রোববার ঢাকার মহাখালীর স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট -সংগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার: বয়স উত্তীর্ণদের নির্বাহী আদেশে নিয়োগ, চাকরির শুরুতে দশম গ্রেডে বেতন দেওয়া, নতুন পদ সৃষ্টি, অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়’ স্থায়ী নিয়োগের সুপারিশ বাতিল করাসহ বিভিন্ন দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা। করোনাভাইরাস মহামারীকালে রোগীর নমুনা সংগ্রহসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনরত এই স্বাস্থ্যকর্মীরা গতকাল রোববার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকার মহাখালী স্বাস্থ্য ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করে।
কর্মসূচি শেষে বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমটিএ) সভাপতি মো. আলমাছ আলী খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদের দাবি বাস্তবায়ন না বলে ৯ জুলাই সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত সারাদেশের সব সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালন করা হবে।
অবস্থান ধর্মঘটে স্বাস্থ্য অধিদফতররের অধীন বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এবং বেকার মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা অংশ নেন। বিএমটিএ’র অন্যান্য দাবি হচ্ছে- ডিপ্লোমা মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড চালু, স্বেচ্ছাসেবক/ অস্থায়ী ভিত্তিতে/ মাস্টাররোলের মাধ্যমে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে নিয়োগ বন্ধ, ‘ওয়ান আমব্রেলা কনসেপ্ট’ বাস্তবায়ন, কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে পাশ করাদেরকে স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়োগ না দেওয়া।
অবস্থান ধর্মঘট ও সমাবেশে বিএমটিএ সভাপতি মো. আলমাছ আলী খান, মহাসচিব মো. মোশাররফ হোসেন খান ছাড়াও অন্য নেতারা বক্তব্য দেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্য বিভাগ মেডিকেল টেকনোলজিস্টদেরকে ‘যথাযথভাবে’ মূল্যায়ন করছে না। এমনকি অনেকাংশে তাদের কাজেরও স্বীকৃতি প্রদান করছে না। তারা বলেন, একযুগেও মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ না করায় ইতোমধ্যে কয়েক হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্টের চাকরিতে ঢোকার বয়স পেরিয়ে গেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ‘উদাসীনতার’ কারণে মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান তারা।
অবস্থান ধর্মঘটে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা মো. মোশাররফ হোসেন খান, জহিরুল ইসলাম সরকার, সেলিম মোল্লা, আব্দুর রব, আওলাদ হোসেন খান, মহব্বত হোসেন খান, সমীর কুমার বেপারী, জাহিদুল ইসলাম শাহিন, শফিকুল ইসলাম, হেদায়েতুল ইসলাম শিবলী, সিরাজুল ইসলাম, মাহবুব হাসান, শহিদুল ইসলাম, তাহমিনা, ইকরা, রাজিবুল হাসান রাজা প্রমুখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ