শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

গবেষণা ও ভাবনায় কত পার্থক্য

বলা হচ্ছে, গোয়ার্তুমির ভিকটিম হয়েছে আমেরিকা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণের পরামর্শ উপেক্ষা করায় বেশ ক’টি রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি পুনরায় মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। স্বাস্থ্য বিভাগের অভ্যন্তরীণ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৫০ রাজ্যের ৩৬টিতেই করোনার নিয়ন্ত্রণ দূরের কথা, প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আর দুঃখের বিষয় হলো, গোয়ার্তুমির সাথে, যার নাম যুক্ত হয়েছে তিনি আর অন্য কেউ নন, স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রমক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি জানিয়েছেন, রূপান্তর প্রক্রিয়ার (মিউটেশন) মধ্য দিয়ে করোনা ভাইরাসের নতুন আরও একটি রূপ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ২ জুলাই এক চিকিৎসা সাময়িকীকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ফাউচি বলেন, গবেষণা বলছে চীনের উহানে যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, তার চেয়েও ভিন্ন আরেক করোনা ভাইরাসের স্ট্রেনে (নতুন রূপ) প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে ইতালি। ভাইরাসের এই দুই স্ট্রেনের  মধ্যে পার্থক্য হলো, ইতালির স্ট্রেনটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বলেন, মনে হচ্ছে ভাইরাসটি আরও ভয়ঙ্করভাবে চরিত্র বদলেছে এবং এটি আরও বেশি মানুষকে দ্রুত সংক্রমিত করতে পারে। করোনা ভাইরাস প্রসঙ্গে আমরা গোয়ার্তুমির কথা জানলাম এবং জানলাম ভাইরাসের স্ট্রেন তথা নতুন ভয়ঙ্কর রূপের কথা। কোনটাই মানুষের জন্য ভালো নয়।
করোনার বর্তমান বাতাবরণে মানুষ আশার কথা শুনতে চায়। ভাবনা বলি, গবেষণা বলি তাতো মানুষই করে। মানুষের মধ্যে সম্ভাবনা যেমন আছে, তেমনি আছে সীমাবদ্ধতাও। এ কারণেই মানুষের কাজ কখনো ঠিক হয়, আবার কখনো হয় ভুল। করোনার গবেষণায়ও আমরা লক্ষ্য করেছি মত পার্থক্য বা মতবৈচিত্র্য। কেউ বিষয়টিকে খুব কঠিন করে দেখছেন, আবার কেউ দেখছেন বেশ সহজ করে। যেমন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গবেষক শোনালেন বেশ আশার কথা। সুনেত্রা গুপ্ত জানালেন, বেশিরভাগ মানুষেরই করোনার ভ্যাকসিন নেয়ার প্রয়োজন হবে না। তিনি আরো বললেন, ‘আমরা দেখেছি যারা স্বাস্থ্যবান, বয়ষ্ক ও দুর্বল নন তাদের বহুমুখী চিকিৎসার দরকার নেই। এই ভাইরাসটি নিয়ে সাধারণ ভাইরাস জ¦রের চেয়ে বেশি চিন্তা করার কোনো কারণ নেই।’ সুনেত্রা গুপ্ত বলেন, ‘যখন ভ্যাকসিন আসবে তখন এটি দুর্বলদের জন্য কাজে লাগবে। আমাদের বেশির ভাগেরই করোনা ভাইরাস নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই।’ গবেষণায় ও ভাবনায় কত পার্থক্য। সাধারণ মানুষ তো কিছুটা বিভ্রান্তিতে পড়বেই। কেউ এমনও ভাবতে পারেন, স্রষ্টা এখন যদি একজন নবী পাঠাতেন। কিন্তু নবীতো আর আসবেন না। তবে নবীর শিক্ষা রয়ে গেছে। আমাদের ফিরে আসতে হবে শূদ্ধ জীবনযাপনে। বিজ্ঞানসম্মত কর্তৃপক্ষীয় নির্দেশনাও মেনে চলতে হবে। আর প্রার্থনা করতে হবে স্রষ্টার ক্ষমা ও রহমতের জন্য।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ