বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

কেসিসির তত্ত্বাবধানেই জোড়াগেটে কুরবানির পশুরহাট বসবে ২৬ জুলাই

খুলনা অফিস : করোনা ভাইরাসের মধ্যেও এবার কুরবানীর পশুরহাট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও নগরীর জোড়াগেট বাজার চত্বরে আগামী ২৬ জুলাই থেকে সপ্তাহ্ব্যাপী এ হাট বসবে। নিজস্ব উদ্যোগেই বসছে এবার হাট। কারণ তিন দফা দরপত্র আহ্বান করা হলেও কোন ফার্ম এ দরপত্রে অংশ গ্রহণ করেনি। বৃহস্পতিবার শেষ হয় তৃতীয় দফায় দরপত্র দাখিলের সময়। দরপত্র মূল্য নির্ধারণ করা হয় ২ কোটি ৪৩ লাখ ২৩ হাজার ৪০৮ টাকা। প্রথম দফায় দরপত্র দাখিলের সময় নির্ধারণ করা হয় ২৫ জুন, দ্বিতীয় দফায় দরপত্র দাখিলের সময় নির্ধারণ করা হয় ২৯ জুন এবং সর্বশেষ তৃতীয় দফায় দরপত্র দাখিলের সময় নির্ধারণ করা হয় বৃহস্পতিবার। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে কোন পক্ষই দরপত্র দাখিল করেনি। দরপত্রে উল্লেখ করা হয়, আগামী ২৬ জুলাই থেকে ঈদ উল আযহার দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত এক সপ্তাহের জন্য হাট ইজারা দেয়া হবে। এ রকম তিন শর্তে দরপত্র আহ্বান করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৬ জুলাই থেকে নগরীর জোড়াগেটস্থ পাইকারী কাঁচাবাজারে শুরু হচ্ছে সপ্তাহ্ব্যাপী কুরবানীর পশুরহাট। খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসির) পক্ষ থেকে এবারও দরপত্র আহ্বান করা হয়। জোড়াগেট কুরবানীর পশুরহাট ইজারা দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে বিজ্ঞপ্তি ছাপা হয়। এছাড়া কেসিসির ওয়েভ সাইটে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী তিন দফা দরপত্র ক্রয় ও দাখিলের সময় দেয়া হয়। তা হলো ২৫ জুন, ২৯ জুন ও ২ জুলাই। বৃহস্পতিবার দরপত্র দাখিলের শেষ দিন। কিন্তু এ পর্যন্ত কেউ দরপত্র ক্রয় করেনি। এতে করে দরপত্র জমা দেয়া হচ্ছে না। ফলে কেসিসি নিজস্ব তত্ত্বাবধানেই জোড়াগেট কুরবানীর পশুরহাট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়া আর কোন পথ নেই বলে বলে জানান কেসিসির বাজার সুপার মো. সেলিমুর রহমান। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই চলবে এ কুরবানীর পশুরহাট। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রাখা, হাটে প্রবেশে মাক্স ব্যবহার বাধ্যতামূলক, প্রবেশে গেটে জীবাণুনাশক ট্যালেন স্থাপনের সিদ্ধান্ত, এক দিক দিয়ে পশুহাটে প্রবেশ করবে অন্য গেট দিয়ে বের হয়ে যাবে। পশু ক্রয়-বিক্রয়কালে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা এবং স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকবে। ওয়ান লাইনে হাট বসানো যায় কি না সে ব্যাপারে কাজ চলছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ