শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

স্মার্ট মিটার ব্যবহার করতে পারলে বিলের অভিযোগ উঠতো না -বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুতের বিল নিয়ে কিছু অভিযোগ এসেছে। স্মার্ট মিটার ব্যবহার করতে পারলে এ অভিযোগ উঠতো না। বিল নিয়ে প্রাপ্ত অভিযোগ যথাযথভাবে সমাধান করা হবে।
গতকাল বুধবার সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে  কোভিড-১৯ ও বাজেট ২০২০-২১ পর্যালোচনাঃ বিদ্যুৎ খাতে বন্টনের অগ্রাধিকার এবং বিকল্প প্রস্তাবনা শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি। প্যানেল আলোচক হিসেবে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, বুয়েটের সাবেক শিক্ষক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম তামিম, সাবেক বিদ্যুৎ সচিব ড. মো. ফওজুল কবির খান, স্রেডার সাবেক সদস্য সিদ্দিক যোবায়ের ও বাংলাদেশ ইনডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ইমরান করীম বক্তব্য রাখেন। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহাপরিকল্পনায় প্রদর্শিত পন্থায় পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন করা হচ্ছে। পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান-২০১০ পর্যালোচনা করে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান-২০১৬ প্রণয়ন করা হয়েছে। জ্বালানি মিক্স, উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা আরও যুগপোযোগী করা হয়েছে। দেশে বিদ্যুতের কোন ওভার ক্যাপাসিটি নেই।
তিনি বলেন, সরকার নবায়ণযোগ্য জ্বালানির বিস্তারে সহযোগিতা করছে। ৫৮ লাখ সোলার হোম সিস্টেম সংযোজন করা হয়েছে। মিনিগ্রীডের মাধ্যমেও সংযোজন দেয়া হচ্ছে। নেট মিটারিং সিস্টেম প্রচলন করা হয়েছে। প্রয়োজনে প্রণোদনাও দেয়া যেতে পারে। ১০০ মেগাওয়াটের একটি সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে প্রায় ৩৫০ একর অকৃষি জমি লাগে যা আমাদের দেশে পাওয়া খুবই দুষ্কর।
নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, যৌক্তিক ও সহনীয় মূল্যে নির্ভরযোগ্য ও মানসম্মত বিদ্যুৎ, দক্ষতা ও স্বচ্ছতার উপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। প্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়ানো যাবে স্বচ্ছতাও তত বাড়বে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ