বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

দৌলতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শ্রমিক পরিবারের মানবেতর জীবনযাপন

খুলনা অফিস : খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (এটিআই) জমিতে বসবাসরত চারটি শ্রমিক পরিবার শিশু সন্তানসহ ১৫ দিন ঘর ছাড়াভাবে বসবাস করছেন। এরা সকলেই এটিআই’র অনিয়মিত দিনমজুর। দিন আনে দিন খেয়ে জীবিকা নির্বাহ করে।

এটিআই সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জুন রাতে শ্রমিকদের বসবাসরত দৌলতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সরকারি জমি স্থানীয় ভূমি দস্যুরা দখল করে শ্রমিকদের মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেয়। প্রথম দিন চারটি পরিবার খোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপন করেন। দিঘলিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) দীপংকর দাশ তার লিখিত প্রতিবেদনে জানান, সরজমিনে দেখা যায় এস এ ৫৪৪২ নং দাগের কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট দৌলতপুর থানাধীন ৪নং মহেশ্বরপাশা মৌজার আর এস ১৫নং খতিয়ানের ১৩৫৩৭নং দাগ সহ আরও ৪২টি দাগে মোট ৭০.৪৩৮৫ একর জমি দৌলতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (এটিআই) চুড়ান্তভাবে রেকর্ড প্রস্তুত হয়ে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। যা এস এ খতিয়ানের ৫৪৪২ দাগে ৭০.০৪ একর জমি। যা এটিআই’র অধিগ্রহণ সুত্রে প্রাপ্ত হয়েছে। যার শেষ সীমানায় জেলা প্রশাসকের সীমানা পিলার দিয়ে দখল বুঝে দেয়। বির্তকিত জমিটি মূলত এস এ ৫৪৪২ নং দাগের মধ্যে অবস্থিত।

এটিআই’র অধ্যক্ষ ড. এস এম ফেরদৌস জানান, দিঘলিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) দীপংকর দাশ, উপাধ্যক্ষ শেখ শহিদুজ্জামান, ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সকলের উপস্থিতে আমাদের জমি চুড়ান্তভাবে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। লাল পতাকা ও পাকা সীমানা পিলার দিয়ে সীমানা দেওয়া হয়েছে। এটা সরকারের সম্পত্তি। আমার শ্রমিকের রান্না ঘর ভেঙ্গে ফেলেছে, টিউবওয়েল নিয়ে গেছে, আমি সব সময় থানা পুলিশকে অবগত করেছি। কিন্তু দৌলতপর থানা পুলিশের অসযোগিতার কারণে এটিআই’র জমির উপর নির্মিত ঘরে শ্রমিক পরিবারগুলো ৪০ বছরের বসবাসরত ঘরে বাস করতে পারছে না।  এলাকাবাসী ও সচেতন মহল বলেন, কোভিড-১৯ করোনার কারণে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন যে কোন বাড়ির ভাড়া না দিতে পারলেও তাদেরকে ্দুর্যোগ কালীন সময়ে নামানো যাবে না। সেখানে এ ঘরে বসবাসরত চারটি পরিবারকে সন্ত্রাসীরা শ্রমিকদের বেড় করে দিল। কিন্তু অদৃশ্য কারণে থানা পুলিশের নিরব ভুমিকায় সমাজের মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সৈয়দ মোশারেফ হোসেন জানান, এ বিষয়ে আমাদের কোন নির্দেশনা নেই। আমি কাউকে ঘরে তুলে দিতে পারবো না।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ