শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

গদখালী ফুলের রাজ্যে প্রায় পঁয়ত্রিশ কোটি টাকা ক্ষতি

বেনাপোলের গদখালিতে পড়ে থাকা ফুল

বেনাপোল থেকে মসিয়ার রহমান কাজল: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস ও আম্ফানের প্রভাবে দেশের সবচেয়ে ফুলের যোগানদাতা ফুলের রাজধানী গদখালিতে দুর্দিন চলছে। ফুল উৎপাদন ও কেনাবেচায় শত শত কোটি টাকার লেনদেন হয়।
ফুলের চাষের উপর নির্ভর এলাকার হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু করোনা/আম্পান ঝড়ে থমকে দিয়েছে ফুলচাষীদের চলার গতি। নেমে এসেছে হতাশার ছাপ। এবার করোনা ভাইরাস এবং আম্পানের কারণে গদখালি ফুলের বাজারে পঁয়ত্রিশ কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করেছে হাজারো ফুল চাষী।
বাংলাদেশের ফুলের রাজধানী হিসাবে সুপরিচিত যশোর জেলার গদখালী বাজার। দেশের সর্ব বৃহৎ পাইকারী ফুলের বাজার এই গদখালী। আর এই কারণে গদখালীকে দেশের ফুলের রাজ্য বা রাজধানী বলা হয়ে থাকে।
যশোর শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ঝিকরগাছা থানার ৭৫ টি গ্রামের সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ করা হয় হরেক রকমের ফুল।ঝিকরগাছা থানার গ্রামগুলোর রাস্তার দুইপাশে দিগন্ত বিস্তৃত জমিতে লাল, নীল, হলুদ,বেগুনি আর সাদা রঙের ফুলের সমাহার দেখে মন্ত্রমুগ্ধের মত তাকিয়ে থাকত হয়।
এছাড়া ফুলের সুগ্রান, মৌমাছির গুঞ্জন, আর রঙিন প্রজাপতির ডানায় ভর করে এখানে আসে চিরন্তন সুন্দরের বার্তা।
প্রতিদিন ভোর থেকে আনাগোনা শুরু হয় এ বাজারে গদখালি-পানিসারার কয়েক হাজার ফুল চাষির।দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় পাইকাররা সেখান থেকে ফুল কিনে নিয়ে যান।
এরপর বিভিন্ন হাতবদল হয়ে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার মাধ্যমে ফুলের রঙ ছড়ায় নানান বয়সের নানান মানুষের মনে।
যশোর-বেনাপোল রোড ছেড়ে ডানে,বায়ের গ্রামগুলোয় ঢুকে কিছুদুর এগিয়ে গেলেই দেখা মিলবে দিগন্ত জোড়া ফুলের মাঠ।রজনীগন্ধা, গ্লাডিওল্যাস, গোলাপ আর গাঁদা ফুল চাষ হয় এসব গ্রামে। ফুল কেটে গরুর গাড়িতে করে বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখান থেকে বান্ডিল করে চালান হয়ে যাচ্ছে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন শহরে।
ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের পানিসারা, হাড়িয়া, কৃষ্ণচন্দ্রপুর, পটুয়াপাড়া, সৈয়দপাড়া, মাটিকুমড়া, বাইসা, কাউবা ও ফুলিয়া গ্রামের প্রতিটি মাঠের চিত্রই এমন। প্রতিবছর ৩০০ কোটি টাকার ফুল উৎপাদন হয় এসব মাঠ থেকে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ