শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্বে করোনায় সরকারি অনুদান বঞ্চিত শ্যূটাররা

স্পোর্টস রিপোর্টার: করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ক্রীড়াবিদদের ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। প্রথম ধাপে ৩৩টি ফেডারেশনের কাছে খেলোয়াড়দের নামের তালিকা চেয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। আগে-পরে তালিকা দিয়েছে প্রায় সবাই। তালিকা এখনো জমা দেয়নি সাইক্লিং ও শুটিং। ইতোমধ্যে প্রথম ধাপে দুঃস্থ ক্রীড়াবিদদের মাঝে অর্থ বিতরণ করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। জানা গেছে শূটিং ফেডারেশনের সভাপতি নাজিম উদ্দন চৌধুরী ও সেক্রেটারি ইন্তেখাবুল হামিদ দ্বন্দ্বের কারণেই জটিলতা তৈরি হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক দুঃস্থ খেলোয়াড়দের তালিকা পাঠান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু ফেডারেশনের সভাপতির আপত্তির কারণে টাকা পাননি শ্যূটাররা।

ফেডারেশনের এই দুই শীর্ষ কর্মকর্তার দ্বন্দ্বের বিষয়টি অনেক দিন ধরেই সবার জানা। এখন সেই দ্বন্দ্ব এতই তীব্র হয়ে উঠেছে যে এর জন্য ভুগতে হচ্ছে শ্যূটারদের। দুই শীর্ষ কর্তার  দ্বন্দ্বের কারণে করোনাকালে সংকটে থাকা শ্যূটাররা সরকারের আর্থিক অনুদান থেকে পর্যন্ত বঞ্চিত হচ্ছেন। শ্যূটিং ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ প্রথমে আমাদের ১০ জন খেলোয়াড়ের নাম পাঠাতে বলে। আমরা অনুরোধ করে আরও ১০ জন বাড়াই। দেশের বিভিন্ন ক্লাবের কাছ থেকে দুঃস্থ শ্যূটারদের নাম নিয়ে আমি মহাসচিব হিসেবে একটি তালিকা তৈরি করি। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ফোন করে তাড়াতাড়ি নাম পাঠাতে বলেন। তালিকাটা আমি পাঠিয়ে দিই ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর অফিসে। তবে খেলোয়াড়ের তালিকার সঙ্গে ফেডারেশন থেকে একটা ফরোয়ার্ডিং বা চিঠি লাগে। ওই চিঠিই আমাকে দিতে দেওয়া হয়নি।’

ইন্তেখাবুল হামিদ বলেন, ‘আমরা ২০ জন খেলোয়াড়ের নাম পাঠাই। যখন ফরোয়ার্ডিং দিতে চাইলাম, তখন আমাকে বলা হলো এটা ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির (ইসি) মিটিং ছাড়া দেয়া যাবে না। নইলে নাকি আইন লঙ্ঘন হবে। ফেডারেশনের জিএমের (মহাব্যবস্থাপক) মাধ্যমে জানতে পারলাম, কথাটা বলেছেন ফেডারেশনের সভাপতি। আট বছর শ্যূটিং ফেডারেশনের মহাসচিব হিসেবে এমন অনেক ফরোয়ার্ডিং দিয়েছি, তখন তো ইসি মিটিং লাগেনি! নিয়মও ভঙ্গ হয়নি। যেহেতু সভাপতিকে উদ্ধৃত করে ফেডারেশনের জিএম বলছে, আমি তো ফরোয়ার্ডিং দিতে পারি না।’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘এটা খুবই দুঃখের বিষয়, এই দুঃসময়েও সরকারি অনুদান থেকে শুটাররা বঞ্চিত হলো।’

ফেডারেশনের জিএম সাইফুল ইসলামের কাছে দুস্থ শ্যূটারদের কোনো তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নাকি তাঁর জানা নেই। মুঠোফোনে মহাব্যবস্থাপক বলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো চিঠি পাইনি।’ ফেডারেশনের কর্তাদের এমন দ্বন্দ্বে ক্ষুব্ধ যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান। তিনি বলেন, ‘শ্যূটিং ফেডারেশন একটা তালিকা দিয়েছে। তবে ফেডারেশনের সভাপতি আপত্তি জানান যেন টাকা দেয়া না হয়। যেহেতু শ্যূটিংয়ে দ্বন্দ্ব আছে, তাই আমরা ব্যাপারটা দেখব। তবে এটুকু বলব, আমাদের ঝুলিয়ে রাখা ঠিক হচ্ছে না।’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ