শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠাই ঈদুল ফিতরের অঙ্গীকার -মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন

ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার গ্রহণের মাধ্যমে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এক শুভেচ্ছা বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
গতকাল শুক্রবার দেয়া বাণীতে সেলিম উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ এক মাস সিয়াম ও কিয়াম পালনের পর আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে পবিত্র উৎসব ‘ঈদুল ফিতর’। ঢাকা মহানগর উত্তরের সম্মানিত নাগরিকবৃন্দসহ দেশ-বিদেশের সবাইকে জানাচ্ছি ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা, ‘ঈদ মোবারক’। ঈদ মুসলিমদের জীবনে নিয়ে আসে অনাবিল আনন্দ। আমাদের জাতীয় জীবনেও ঈদুল ফিতরের গুরুত্ব অপরিসীম। ঈদের উৎসবে মুসলিম উম্মাহ শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত বিশ্ব গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করে’।
তিনি বলেন, এবার করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার মধ্যে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। খোলা ময়দানে উৎসবের সাথে আমরা ঈদের নামায আদায় করতাম। শহরের মানুষেরা গ্রামের বাড়িতে স্বজনদের সাথে ঈদ করার সুযোগ পেতেন। কিন্তু এ বছর লকডাউন অবস্থায় ঈদ উদযাপন করতে হচ্ছে।  এছাড়া কোভিড-১৯ রোগে দেশে বিদেশে আমরা হারিয়েছি পরিচিত ও অপরিচিত অনেক ভাইবোনকে। বাংলাদেশে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে অক্রান্তের সংখ্যা এখন প্রায় ৩০ হাজারের কোটায়। প্রাণহানির সংখ্যাও ৪শ ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত এই পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। লকডাউনের কারণে প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের মানুষ অবরুদ্ধ ও কর্মহীন হওয়ায় মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। আমি শোকাহত ও দুর্দশাগ্রস্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমাবেদনা জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্গত মানুষের সার্বিক সহযোগিতা করা সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু সরকারি ত্রাণ ও নগদ অর্থ চুরির মহোৎসব চলেছে। একদিকে অব্যবস্থাপনায় করোনার ভিকটিমরা বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন, অপরদিকে অবরুদ্ধ মানুষরা খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। দেশ ও জাতির এই ক্রান্তিকালে একটি গণমুখী, আদর্শবাদী ও কল্যাণকামী রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর সাধারণ মানুষের দুর্দশা লাঘবে ব্যাপক ত্রাণতৎপরতা চালিয়েছে এবং অভাবগ্রস্থ মানুষের বাড়ী বাড়ী সাধ্যমত ত্রাণ-সাহায্য পৌঁছে দিয়েছে’।
মহানগরী আমীর বলেন, ‘মাহে রমযানের তাৎপর্য ও ঈদুল ফিতরের শিক্ষা ধারণ করে শোষণ, বঞ্চনা দেশ গড়ার প্রত্যয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অবরুদ্ধ ও দুর্গত মানুষের কল্যাণে যাকাত, সাদাকাহ, ফিতরাসহ নিজ সঞ্চিত অর্থ নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে সমাজের বিত্তবান মানুষ, দাতা সংস্থা ও ইসলামী আন্দোলনের সকল জনশক্তির প্রতি আমি আহ্বান জানাচ্ছি’।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ