কুয়েত থেকে দুটি ফ্লাইটে ফিরেছেন ৩১৩ বাংলাদেশী শ্রমিক
স্টাফ রিপোর্টার: কুয়েত থেকে দুটি ফ্লাইটে ৩১৩ জন বাংলাদেশী শ্রমিক দেশে ফিরেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে পৃথক দুইটি বিশেষ (চার্টার্ড) ফ্লাইটে তারা দেশে পৌঁছান।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিমানবন্দর থেকে জানানো হয়, কুয়েত এয়ারলাইন্সের প্রথম ফ্লাইটটি রাত ৮টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এতে ১৮৫ জন শ্রমিক ছিলেন। জাজিরা এয়ারওয়েজের দ্বিতীয় ফ্লাইট রাত ৯টায় ঢাকায় অবতরণ করে। এতে ছিলেন ১২৮ জন শ্রমিক। উভয় ফ্লাইটের যাত্রীরাই সে দেশে নির্বাসিত শ্রমিক ছিলেন। তারা অবৈধভাবে কুয়েতে অবস্থান করছিলেন। সম্প্রতি কুয়েত সরকার ঘোষিত সাধারণ ক্ষমার আওতায় তারা দেশে ফেরেন।
সব শ্রমিকই স্বাস্থ্য সনদ নিয়ে ফিরেছেন। স্ক্রিনিং শেষে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অবৈধ অভিবাসীদের কুয়েত ছাড়ার জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে দেশটির সরকার। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশী সাধারণ ক্ষমার জন্য আবেদন করেছেন। রাজধানী কুয়েত সিটির বাইরে চারটি ক্যাম্পে তাদের রাখা হয়েছে।
ক্যাম্পগুলো হলো- আবদালিয়া, সেবদি, মাঙ্গাফ ও কসর। ক্যাম্পে বসবাসকারী কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন ক্যাম্পে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে কাল ফিরবেন তিনশ’ নাগরিক
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে লকডাউনে যুক্তরাষ্ট্রে আটকে পড়া তিন শতাধিক বাংলাদেশী নাগরিক দেশে ফিরবেন আগামীকাল শুক্রবার। কাতার এয়ারওয়েজের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে তাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
সূত্র জানায়, ১৫ মে রাত ১১টায় ওয়াশিংটনের ডুলাস বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে। দেশে ফেরাদের মধ্যে ছাত্র, পর্যটক ও কাজে এসে আটকে পড়া বাংলাদেশীরা রয়েছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ দূতাবাস ওয়াশিংটন ডিসি এবং নিউইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলেসের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের ওয়েবসাইটে যুক্তরাষ্ট্রে এসে কোভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আটকে পড়া বাংলাদেশী নাগরিকদের অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিন শতাধিক বাংলাদেশি নিজ নিজ খরচে বিশেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার প্রত্যাশায় দূতাবাস ও কনস্যুলেটের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ওরিক্স অ্যাভিয়েশন লিমিটেড নামের একটি বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান এই চার্টার্ড ফ্লাইটে ভ্রমণেচ্ছু আটকে পড়া যাত্রীদের নিবন্ধন ও টিকিট ইস্যুকরণ-সংক্রান্ত বিষয়ে কাতার এয়ারওয়েজের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করছে।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল জানিয়েছে, দেশে যারা ফিরছেন, তাদের ঢাকা পৌঁছার পর দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকেতে হবে। এ ছাড়া সঙ্গে অবশ্যই করোনা শনাক্ত নয় এমন চিকিৎসা প্রত্যয়নপত্র রাখতে হবে।