বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ক্লাবের সাথে সমঝোতা করেই ঢাকা ছাড়লেন জাপানী ফুটবলাররা

স্পোর্টস রিপোর্টার : করোনা ভাইরাসের কারণে খেলাধূলা বন্ধ। মাঠের অনুশীলন ও নেই।কবে পরিস্থিতি আবার স্বভাবিক হবে সেটাও কেউ জানেনা। এমন পরিস্থিতিতে পরিবারের জন্য দুঃচিন্তা থাকলে ও যেতে পারছিলেন না নিজ জম্মভূমিতে। ক্লাবের সাথে চুক্তি থাকায় চাইলেই তো আর যাওয়া যায়না। তাই তো অনেকটা বন্ধী জীবন কাটছিল বিদেশী ফুটবলারদের।তবে লীগ নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হলে ক্লাবগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমঝোতার ভিত্তিতে বিদেশী ফুটবলারদের ছেড়ে দেয়ার।

তারই আলোকে জাপানী খেলোয়াড়রা দেশে ফিরে যাচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চার্টার্ড বিমানে তিন জাপানি ফুটবলার বাংলাদেশ ছেড়েছেন। এরা হলেন শেখ জামালের ইউসুকে কাতো, মোহামেডানের উরু নাগাতা ও মুক্তিযোদ্ধার নোরিকো হাসিগুচি। তিনজনই মাঝমাঠের খেলোয়াড়। নিজ নিজ ক্লাবের সঙ্গে সমঝোতার পর তারা ঢাকা ছাড়ছেন।

শেখ জামালের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন চুন্নু বলেছেন, ‘আমরা সব বিদেশি খেলোয়াড়কে সমঝোতার মাধ্যমে ছেড়ে দিচ্ছি। জাপানের কাতো দেশে ফিরছে। বাকিরা বিমান চলাচল স্বাভাবিক হলেই ঢাকা ছাড়বে।’সঙ্গে তিনি এটাও জানিয়ে রাখলেন, ‘বিদেশিদের মার্চের বেতন দেওয়া হয়েছে। খেলা শুরু হলে প্রয়োজনে তাদের আবার নিয়ে আসা হবে। খেলোয়াড়রাও বিষয়টি মেনে নিয়েছে।’

কাতো ক্লাবের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন। যেহেতু চুক্তি আছে, তাই ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা না করে দেশে ফিরতে পারছিলেন না। অতঃপর শেখ জামালের সঙ্গে সমাঝোতায় পৌঁছাতে পারায় দেশে ফিরতে আর কোনও সমস্যা নেই তার। বর্তমান পরিস্থিতি মেনে এই মিডফিল্ডার বলেছেন, খুব স্বস্থি লাগছে জাপান ফিরে যাচ্ছি। ক্লাবও সায় দিয়েছে। আবার লিগ শুরু হলে আমি ফিরে আসবো। প্রায় আট মাস পর আমার পরিবারের কাছে যাচ্ছি। কিন্তু ওখানে গিয়ে দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে আমাকে।’ অন্য দুই জাপানি উরু নাগাতা ও নোরিকো হাসিগুচিও ফিরে যাচ্ছেন দেশে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুই খেলোয়াড়ের ক্লাব মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ