ঢাকা, শুক্রবার 19 April 2024, ০৬ বৈশাখ ১৪৩০, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

করোনা তহবিলে দশ ডলার দিলেই বেকহামের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ

স্পোর্টস রিপোর্টার : করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এবার এগিয়ে আসলেন ডেভিড বেকহাম করোনা তহবিলে দান করার জন্য পশ্চিমা তারকারা এক অনবদ্য পথ বের করেছেন। হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর 'অল ইন চ্যালেঞ্জ' নামক এই উপায়ে তারকারা ভক্তদের কাছ থেকে দশ থেকে একশ ডলার করে ত্রাণ সংগ্রহ করছেন। ত্রাণের বিনিময়ে ভক্তরা তাঁর পছন্দের তারকার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন, পাবেন সময় কাটানোর সুযোগ।

এই চ্যালেঞ্জে এর মধ্যেই নাম লিখিয়েছেন উইল ফেরেল, ম্যাথিউ ম্যাককোনহে, ড্রেক, আরিয়ানা গ্রান্দে, কেভিন ডুরান্ট, অ্যারন রজার্সের মতো তারকারা। এবার সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন ডেভিড বেকহামও।

কিন্তু এই চ্যালেঞ্জে অংশ নেওয়ার জন্য বেকহাম ভক্তদের কী করতে হবে? নূন্যতম দশ ডলার খরচ করে দশটি এন্ট্রি কিনতে হবে। চাইলে একশ ডলার পর্যন্তও খরচ করা যাবে। স্বাভাবিকভাবেই, বেশি ডলার খরচ করলে জেতার সম্ভাবনা বেশি। এন্ট্রি কেনা ভক্তদের মধ্য থেকে র‍্যাফল ড্র এর মাধ্যমে বাছাই করা হবে সৌভাগ্যবান বিজয়ীকে। তিনি তাঁর চারজন বন্ধু নিয়ে ডেভিড বেকহামের সঙ্গে দেখা করে আসতে পারবেন।

শুধু তাই-ই নয়। বিজয়ী ও তাঁর ওই চার বন্ধু মিলে বেকহাম ও তাঁর দলের সঙ্গে ইন্টার মায়ামি স্টেডিয়ামে 'ফাইভ-এ-সাইড' ম্যাচও খেলবেন। মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামির মালিক ডেভিড বেকহাম শুধু এতটুকু উপহার দিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছেন না। খেলা শেষ করে ওই পাঁচজন বেকহামের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করার সুযোগ পাবেন। পাবেন বেকহামের সঙ্গে ইন্টার মায়ামি স্টেডিয়াম ঘুরে দেখার সুযোগ।

এরপর মালিকের ভিআইপি লাউঞ্জে বসে বসে ইন্টার মায়ামির একটা ম্যাচ দেখারও সুযোগ পাবেন সৌভাগ্যবান সেই বিজয়ী। অল-ইন ওয়েবসাইটে পোস্ট কথা এক ভিডিওবার্তায় এগুলোই জানিয়েছেন বেকহাম।

নিজের সাবেক তিন ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ ও পিএসজিকেও এই চ্যালেঞ্জে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বেকহাম।

কিন্তু সৌভাগ্যবান বিজয়ী কবে পাবেন এসব সুযোগ? বেকহ্যাম জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ভক্তদের। করোনাভাইরাসের প্রভাব কেটে গেলে ম্যাচ কবে হবে, সেটা ইন্টার-মিয়ামি ক্লাব ও লটারিতে জয়ী ভক্ত একসঙ্গে বসে ঠিক করবেন। এই মুহূর্তে পরিবারের সঙ্গে আইসোলেশনে সময় কাটাচ্ছেন বেকহাম।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ