কয়রায় ওয়াপদার বেড়িবাঁধের অবৈধ পাইপ তুলে দিয়েছেন এলাকাবাসী
খুলনা অফিস : খুলনার কয়রায় লবণ পানির চিংড়ি ঘের আর নয়, এখন ধান চাষে আগ্রহী জমির মালিকরা চিংড়ি ঘেরের অবৈধ পাইপ তুলে বন্ধ করে দিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলুর নেতৃত্বে দক্ষিণ মঠবাড়ী গ্রামের শতশত জনগণ পাইপ তুলে দেওয়ায় অবশেষে লবণ পানি মুক্ত হল কিছু এলাকা।
খোজ জানা গেছে, দক্ষিণ মঠবাড়ী গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি এলাকাবাসীর দাবি উপেক্ষা করে জোর করে লবণ পানির চিংড়ি চাষে আগ্রহী। সেজন্য তারা ওয়াপদার বেড়িবাঁধ ছিদ্র করে পাইপ ঢুকিয়ে নদী থেকে লবণ পানি তুলে চিংড়ি চাষ শুরু করেন। তবে স্থানীয় ইউপি মেম্বর ওহিদ মোড়ল তার প্রতিবাদ জানিয়ে কয়রা উপজেলা সিনিয়র সহকারী ম্যাজিট্্েরট আদালতে একটি মামলা করলে আদালত বিষয়টি পুলিশের কাছে তদন্তে পাঠায়। এছাড়া এলাকার অধিকাংশ মানুষ লবণ পানির চিংড়ি ঘের নয় এখন থেকে ধান চাষ হবে এমন শ্লোগান তুলে ইউপি চেয়ারম্যানকে জানায়।
এদিকে দুই মাস এলাকায় অধিকাংশ জনগণ এ ধরনের প্রতিবাদ মুখর হওয়ায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আলামিন প্রতিবাদকারীদের নামে একাধিক মিথ্যা মামলা করেছেন জানা গেছে। অবশেষে সোমবার ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বর সরেজমিনে গেলে শতশত জনতা তাদের সামনে অবৈধভাবে বসানো পাইপ তুলে দিয়েছেন।
এ সময় এলাকাবাসী জানায়, ছাত্রলীগের আলামিন, রহিম মাস্টারের নির্দেশে সাবুদ গাজী, তার ভাই মোসলেম ও আলাউদ্দিন গাইন সহ আরও অনেকে জোর পূর্বক চিংড়ি ঘের করতে চায়। কিন্তু তার প্রতিবাদ করলে তাদের নামে মিথ্যা মামলা করেন।
এছাড়া জমির মালিক শরিফুল, মিজানুর, কোহিনুর মালী, শামছুর মালীসহ একাধিক ব্যক্তি জানায়, আলামিন ক্ষমতা দেখিয়ে অনেক অত্যাচার করেছে এলাকায়। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন লাভলু জানান, দক্ষিণ মঠবাড়ী গ্রামে এক বছর আগে লবণ পানির চিংড়ি ঘেরের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হলে, ঘের মালিকরা জানায়, আগামী ২০২০ সালের শুরু থেকেই ঘের বন্ধ করা হবে। অথচ আলামিন, রহিম সহ কয়েকজন এলাকাবাসীর দাবি উপেক্ষা করে লবণ পানি তোলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে প্রতিবাদী জনতা অবৈধ দু’টি পাইপ তুলে দেয়। তিনি বলেন, এলাকার ৯৫ ভাগ মানুষ ধানচাষে আগ্রহী হওয়ায় তারা নিজেরাই ঘের বন্ধ করতে চাচ্ছে।