শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ঢাকায় ঢোকা, বের হওয়া বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার : জরুরী সেবায় যুক্তদের ছাড়া কাউকে গতকাল রোববার থেকে ঢাকায় ঢুকতে কিংবা বের হতে দেয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। গতকাল পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনসাধারণের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য জরুরী প্রয়োজন ছাড়া একা কিংবা দলবদ্ধভাবে বাইরে ঘোরাফেরা করতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। পরবর্তী সরকারি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জনসাধারণকে ঢাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এমনকি তাদের ঢাকা ছেড়ে যেতেও দেয়া হবে না। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং জনগণের ঘরে অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পুলিশ কাজ করছে।

পুলিশ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশ এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেশের সব নাগরিক এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।

এর আগে নভেল করোনাভাইরাসের মহামারী নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউনের মধ্যে জরুরী সেবার সঙ্গে নিয়োজিতরা ছাড়া রাজধানীকে কেন্দ্র করে মানুষের আগমন-বহির্গমন ঠেকাতে কঠোর হতে বলেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) জাবেদ পাটোয়ারি। কিছু কিছু কারখানা চালু হওয়ার খবরের মধ্যে শনিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৈরি পোশাক শ্রমিকসহ হাজার হাজার মানুষের ঢাকামুখী ঢল নামার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে শনিবার রাতেই তিনি এ নির্দেশনা দেন। 

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারি মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের মধ্যে ঢাকার বাইরে থেকে ছুটে আসা শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ যেন ঢাকায় প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে আইজিপির নির্দেশ সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকলের সহযোগিতা কামনা করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, “সকল ধরনের মুভমেন্ট বন্ধ আছে। কেউ ঢাকার বাইরে যেতে পারবেন না, ঢাকায় ঢুকতে পারবেন না। যে যেখানে আছেন সেখানে অবস্থান করবেন, কোথাও সমবেত হতে পারবেন না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। তবে একান্ত জরুরি প্রয়োজন থাকলে তার বা তাদের বিষয়টি শিথিলযোগ্য হতে পারে বলে জানান তিনি।

গতকাল রোববার থেকে গার্মেন্টস খোলার খবরে শনিবার দিনভর আশেপাশের জেলাগুলো থেকে হাজার হাজার শ্রমিককে ঢাকার পথে দেখা যায়। করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলে ঘরে অবস্থানের নির্দেশনার মধ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শত শত নারী-পুরুষের পায়ে হাঁটা মিছিল ও ফেরীতে শত শত মানুষের গাদাগাদি করে পদ্মা পার হওয়ার ছবি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়।

 দেশজুড়ে লকডাউনের সিদ্ধান্তের মধ্যে কারখানা খোলার সিদ্ধান্তের জন্য মালিকদের এবং হাজার হাজার মানুষকে দলে দলে এতোটা পথ পাড়ি দিতে দেয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন সমালোচনার মুখে পড়ে। পরে রাতে ১১ এপ্রিল সরকারঘোষিত সাধারণ ছুটি পর্যন্ত গার্মেন্টস কারখানাগুলো বন্ধ রাখতে পোশাক খাতের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ মালিকদের প্রতি আহ্বান জানায়। 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ