শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

মুসলিমদের প্রতি মদিনা শরীফের ইসলামী স্কলার ড. আহমদ আলী সিরাজের ১৫ পরামর্শ

৪ এপ্রিল. ডেইলি পাকিস্তান : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বব্যাপী। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও এই ভাইরাস মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে। লকডাউনের ফলে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ। এখন আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুলের দিকে প্রত্যাবর্তনের সময় বলে মন্তব্য করেছেন মদিনা শরীফের ইসলামী স্কলার ড. আহমাদ আলী সিরাজ। 

আহমাদ আলী সিরাজ বলেন, এই ঘরবন্দি অবস্থায় আমাদের হাতে অনেক অবসর সময় রয়েছে। অধিকাংশ মানুষকে দেখা যায় তারা অবসর সময়ের মূল্য দেয় না।

হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, নবী কারীম (সা.) বলেছেন, দুইটি নেয়ামত এমন রয়েছে অধিকাংশ মানুষ যার মূল্য দেয় না। সেই দুটি নেয়ামত হলো, সুস্থতা এবং অবসর সময়। এই জন্য আমাদের সময়ের মূল্য দিতে হবে।

মদিনা শরীফের এই ইসলামী স্কলার মুসলিমদের ঘরে সময় কাটানোর ব্যাপারে কতগুলো দিক দির্দেশনা দিয়েছেন। নি¤েœ যেগুলো উল্লেখ করা হলো-

গুনাহ থেকে বেঁচে থাকবে। বিশেষ করে যেসব মহিলাদের দেখা যায়েজ নয়, তাদের দেখা বিরত থাকবে।

গান-বাজনা শোনা থেকে বিরত থাকবে। ঘরে ছবি ঝুলাবে না এবং রাখবে না।

অপ্রয়োজনে সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় নষ্ট করবে না।

যাচাই না করে কোনও খবর প্রচার করবে না এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করবে না।

সমাজে ভয়ভীতি ছড়ানো থেকে বিরত থাকবে।

ছয় থেকে আট ঘন্টার বেশি না ঘুমানোর চেষ্টা করবে।

সারাক্ষণ মোবাইল হাতে রাখা, গেম খেলা এবং খারাপ জিনিস দেখা থেকে বিরত থাকবে।

ঘরেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জামাতের সঙ্গে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করবে। সঙ্গে সঙ্গে সুন্নত, নফল, তাহাজ্জুত, ইশরাক,              এবং আওয়াবিন নামাজ আদায়ের প্রতি গুরুত্ব দেবে।

নামায আদায়ের পর সুন্নত দোয়া দুরুদ পড়বে।

প্রতিদিন ১ পারা কোরআন পাঠ করবে এবং কোরআানের হাফেজরা তিন পারা পাঠ করবে।

দুরুদ শরীফ, ইস্তেগফার, আয়াতে কারিমা – ‘‘লা হাউলা ওলা কুয়াতা ইল্লা বিল্লা ‘’ পড়বে। তিন তাসবিহ-এর আমল করবে।

প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ মিনিট একাগ্রচিত্তে আল্লাহর নিকট দোয়া করবে।

প্রতিদিন কিছু সময় বই পড়বে। ভাল হবে ‘হায়াতুস সাহাবাহ’ বই পড়া। অথবা যে কোনও ভাল বই পড়া যেতে পারে।

শাবান মাসে নবী স. অনেক বেশি রোজা রাখতেন। তো এই সময় শাবান মাসের রোজা রাখা যেতে পারে। আবার যারা পূর্বের রোজা কাজা করেছেন তারা কাজা রোজা আদায় করতে পারেন।

নিজের সন্তান এবং পরিবারের সদস্যদের সময় দেবে। তাদের সঙ্গে গল্প করবে এবং তাদের কথা শুনবে। রান্না-বান্না, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ ঘরের কাজে নারীদের সাহায্য করবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ