শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

নবাবগঞ্জের দারিয়ার ঝুঁকিপূর্ণ সেতু ॥ শংকা নিয়ে যাতায়াত ৫০ গ্রামের মানুষের

এভাবেই রেলিং ভেঙে গিয়ে সেতুর বিভিন্ন স্থানে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। ছবিটি আজ সকালে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা দরিয়া এলাকা থেকে তোলা -ছবি : সংবাদদাতা

 

নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) সংবাদদাতা : দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ৮নং মাহমুদপুর ইউনিয়নের দারিয়া গ্রামের পূর্ব পাশে প্রশস্ত খালের উপর পাকিস্তান আমলে নির্মিত সেতুটি এখন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে প্রায় ৫০ গ্রামের মানুষ পারাপার করছে। যেকোন মুহূর্তে সেতুটি ভেঙ্গে পড়ে প্রাণহানির আশংকা করছেন এলাকাবাসী। সেতুটি ভেঙ্গে ফেলে নতুন করে আর একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন দারিয়ারসহ উল্লিখিত ৫০ গ্রামের মাুনষ।

দারিয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. আজিজুল হক জানান, ১৯৬৭-৬৮ অর্থ বছরে ৮নং মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান মরহুম সলিমুদ্দিন সেতুটি নির্মাণ করেন। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার ফলে সংস্কার ও মেরামত না করায় সেতুর বিভিন্ন স্থানে সিমেন্ট বালি খুলে পড়ে রড বের হয়েছে এবং একাধিক স্থানে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। তিনি আরো জানান, এই সেতু  রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সাথে সংযোগস্থল হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জয়ন্তীপুরের ঘাটে করতোয়া নদীতে একটি বড় সেতু নির্মাণের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ওই সেতুটি নির্মিত হলে  সেটার উপর দিয়ে মাহমুদপুর ইউনিয়নের উল্লিখিত ৫০ গ্রামের মানুষ অনায়াসে দারিয়া সেতু ব্যবহার করে দাউদপুর, ভাদুরিয়া, রানীগঞ্জ, ঘোড়াঘাট, গোবিন্দগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, বাংলাহিলি হয়ে জয়পুরহাট, বিরামপুর হয়ে দিনাজপুরসহ গোটা দেশের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে।

৮নং মাহমুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহিম বাদশা জানান, সেতুটি নির্মাণের জন্য এল.জি.ই.ডির দিনাজপুর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ঊর্র্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মুনসুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সেতুটি নির্মাণের প্রক্রিয়া চলমান সয়েল টেস্ট করা হলেই টেন্ডার আহ্বান করা হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ