শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

নির্বাচিত হলেই সমস্যাগুলোর সমাধানের কাজ শুরু করবো -রবিউল আলম

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনের জনগণের প্রত্যাশা ও তাদের প্রয়োজন চিহ্নিত করা হয়েছে এখন সুযোগের অপেক্ষা। আগামী ২১ মার্চের নির্বাচনে জনগণ ভোট দানের সুযোগ পেলে তারা আমাকেই তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। জাতীয় সংসদে গিয়ে আমি তাদের সে প্রত্যাশা পূরণে জোরালো ভূমিকা রাখবো। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ঝিগাতলার গাবতলা মসজিদের সামনে গণসংযোগপূর্ব পথসভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছি। এলাকায় মাদক ছেিড়য় গেছে। রাস্তাঘাট সরু। ফুটপাত নাই। আমি নির্বাচিত হলে সিটি কর্পোরেশনকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলবো। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমি তাদের বাধ্য করব।
শেখ রবিউল আলম রবি বলেন. আমি আবারো বলছি, সরকার দানবীয় চরিত্র থেকে বের হয়ে সুষ্ঠু দিলে জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবে। প্রতিনিয়তই আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘণ করেছন অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, প্রচারণায় তিনি ব্যানার-ফেস্টুন ব্যবহার করছেন, মাইক ব্যবহার করছেন। বিধি অনুযায়ী যেখানে প্রতি ওয়ার্ডে একটি নির্বাচনী অফিস ব্যবহার করার কথা সেখানে তিনি একাধিক অফিস ব্যবহার করছেন। ফুটপাত দখল করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছেন।
গাবতলা মসজিদের সামনে থেকে প্রচারপত্র বিলি করেন । এলাকাবাসীর কাছে ভোট চান। সেখান থেকে মনেশ্বর রোড, টানারী মোড় সোনাতনগড় এলাকায় গণসংযোগ শেষে সোনাতনগড় শাহী মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। সেখানে উপস্থিত মুসল্লীদের কাছে নির্বাচনে বিজয়ী হতে দোয়া চান। এরপর তিন মাজার মনেশ্বর রোড হয়ে ঝিগাতল সরকারি ছয়তলা কোয়ার্টার এলাকা ও এর আশাপাশ এলাকায় গণসংযোগ করেন। 
১৩তম দিনের নির্বাচনী প্রাচারণায় সমাপনী বক্তেব্যে শেখ রবিউল আলম বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার প্রয়োজন ছিল। দেশের মানুষ রক্ত দিয়ে জীবন দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এদেশের মানুষ হারতে জানেনা। দেশের মালিক জনগণ তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভোট দিতে চায়। আমি ও আমার দল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় পরিশ্রম করছি। জনগণ তার মূল্যায়ন করবে। তারা কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিবে। যা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির পথকে বেগবান করবে।  সরকার ভোট নিয়ে যদি কোনো অপশক্তি প্রয়োগের চেষ্টা করে তবে জনগণ তার মোকাবিলা করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রে জনগণকে নিয়ে আসার চ্যালেঞ্জটা আমাদের ছিল না। সুষ্ঠু নির্বাচন ও নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। যা তৈরি করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।  নির্বাচন ব্যবস্থাপণায় সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে আমরা জনগণকে ভোট কেন্দ্রে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।  রাষ্ট্র সুস্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থাপণায় ভূমিকা না রাখলে জনগণ অবশ্যই প্রতিরোধ করবে।   
প্রচারণায় অন্যদের মধ্যে ধানমন্ডি থানা শ্রমিক দলের সভাপতি আবু কাওসার, ১৬ নম্বর বিএনিপ সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, যুবদল নেতা হাবীবুর রহমান, হাজারীবাগ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, সহসভাপতি আব্দুল জলিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ