শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

জাতীয় গ্রীডে নতুন করে যোগ হচ্ছে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

মুরাদনগর (কুমিল্লা) থেকে আবু ইউসুফ: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা গ্যাস ক্ষেত্রের প্রসেস প্লান্ট দিয়ে নতুন করে জাতীয় গ্রীডে যোগ হবে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। মঙ্গলবার নবীনগর উপজেলার হাজীপুর গ্রামে নতুন এ গ্যাস কূপের সন্ধান পেয়েছে রাষ্ট্রীয় তেল গ্যাস অনুসন্ধান উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লেরেশন অ্যান্ড প্রডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। ৩ মার্চ (মঙ্গলবার) রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, এ গ্যাস কূপ আবিষ্কারের কৃতিত্ব বাপেক্স-এর । গত বছরের ৬ আগস্ট নবীনগর উপজেলার হাজীপুর গ্রামে বাপেক্স অনুসন্ধান কূপ খনন শুরু করে। অবশেষে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে গ্যাস স্তরের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার খবর মেলে। ৩ হাজার ৬৫ মিটার গভীরে অবস্থিত এই গ্যাস স্তর থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে জানায় বাপেক্স। বাপেক্স জানিয়েছে, নতুন আবিষ্কৃত এ গ্যাস কূপ  থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে। ৩ হাজার ৬৫ মিটার গভীরে অবস্থিত এ গ্যাস ফিল্ড থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে বাপেক্স। নতুন পাওয়া গ্যাস কূপের কাছাকাছি প্রসেস প্লান্ট রয়েছে। শুধু ১০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। খননবিদ মোছাদ্দেক হক জানান, অনুসন্ধান কূপ শ্রীকাইল ইষ্ট-১ রুপকল্প-১ খনন প্রকল্পটি ২০১৯ সালের অক্টোবরে কাজ শুরু করে ২০২০ সালের জানুয়ারীতে শেষ করেছি। তিন কিলোমিটার গভীরে ৩০৫৬-৭১ ফিট খনন করেছি। সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারণে দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। কিছু কাজ অসমাপ্ত রয়ে গেছে। অসম্পূর্ণ কাজটি সমাপ্ত হলে অল্প সময়ের মধ্যে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সংযোগ দেয়া সম্ভব হবে। বাঙ্গরা গ্যাসক্ষেত্র থেকে ১০ কি: মি: দূরে ও একই ভূ-কাঠামোতে অবস্থিত এবং এই দুটি ক্ষেত্র ১৪০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এর আগে ২০০৪ সালে প্রথম শ্রীকাইলে গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়া হলেও ত্রুটিপূর্ণ খনন কাজের কারণে সে সময় গ্যাস মেলেনি। বর্তমান সরকারের আমলে এখানে ২০১২ সালের ৫ মে হতে শুরু করে ৩০ জুন পর্যন্ত খনন করে ৩,২১৮ মিটার গভীরে গ্যাস পাওয়া যায়। আনুমানিক মজুদের হিসাবে এটি একটি মাঝারি ধরণের গ্যাসক্ষেত্র। বাপেক্সের হিসাব অনুযায়ী, এখানে মোট গ্যাসের মজুদ ৩০০ বিলিয়ন ঘনফুট। উল্লেখ্য, এতদিন এই গ্যাস ক্ষেত্রের দুটি কূপ থেকে দৈনিক ৪১-৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করে তা জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হচ্ছিলো। নতুন এ আবিষ্কৃত গ্যাস ক্ষেত্র জ্বালানী খাতের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ