গৌরনদীর জমিদার বাড়ি ভেঙ্গে পড়ছে
প্রকাশিত: রবিবার ১৭ অক্টোবর ২০১০ | প্রিন্ট সংস্করণ
শাহে আলম, বরিশাল অফিস : রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার আশোকাঠী গ্রামের প্রয়াত খ্যাতিমান জমিদার মোহন লাল সাহার স্মৃতিবিজরিত বাড়িটি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে একশত ষাট বছরের পুরনো দুর্গা মন্দির ও রুগ্ন ভবন। ব্যবহারে অযোগ্য হয়ে পড়ার পড়েও ঝুঁকি নিয়ে বাড়িতে বসবাস করেছে জমিদার বাড়ির উত্তরসূরীরা। বাড়ির প্রবেশ দ্বারে প্রচীন সু-বৃহৎ দূর্গা মন্দিরটিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগত পর্যবেক্ষক ও ভক্তরা পূজা অর্চনা করে থাকেন। এতদাঞ্চলের মধ্যে এ দূর্গা মন্দিরটি সর্ববৃহৎ হওয়ায় প্রতিবছরই মহাধুমধামের সাথে এ মন্দিরে দুর্গা পূজা হয়ে থাকে। এ বছরও দুর্গা পূজা উপলক্ষে আয়োজনের কোন কমতি নেই।
সরেজমিনে জমিদারবাড়ীর উত্তরসূরীদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১ হাজার ফুট দূরত্বে আড়িয়াল খাঁ নদীর প্রশাখা গৌরনদী মীরের হাট নদীর তীরে প্রায় দেড়'শ বছর পূর্বে জমিদার মোহন লাল সাহা এ বাড়িটি নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন। বাড়ির সামনেই রয়েছে সান বাঁধানো সু-বিশাল একটি দীঘি। জমিদার থাকতেন প্রসন্ন ভবনে। বর্তমানে প্রচীনতম ক্ষয়িষ্ণু ভবন ও মন্দিরটি থাকলেও তাতে নেই কোন জৌলস। বাড়ির দেয়ালের প্লাস্টার খসে খসে পড়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও আগাছার সৃষ্টি হয়ে প্রাচীনতম ভবনের সাক্ষী হিসাবেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। বাড়ির সামনেই রয়েছে প্রাচীনতম একটি মন্দির। স্থানীয়রা জানান, তৎকালীন সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ মন্দির হিসেবে এ মন্দিরটিতে ভক্ত দর্শনার্থীরা পূজা অর্চনা করতে ভিড় করতেন। ৩০ গজ দৈর্ঘ্য ২০ গজ প্রস্থ মন্দিরটিতে রয়েছে ৪৫টি স্তম্ভ। ১৮৫০ সালের দিকে জমিদার প্রসন্ন কুমার সাহা মন্দিরটি নির্মাণ করেছেন বলে বাড়ির লোকজন জানান। জমিদার প্রসন্ন কুমার সাহা ছিলেন জমিদার মোহন লাল সাহার পিতা। কারুকার্জ খচিত ঐতিহাসিক এ মন্দিরের ছাঁদে ফাটল দেখা দিয়েছে। খসে পড়ছে ভবনের দেয়ালের আস্তর। বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে।