বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যৌথ বিবৃতি দিতে ব্যর্থ নিরাপত্তা পরিষদ

৫ ফেব্রুয়ারি, এপি: রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া আদেশ নিয়ে আলোচনা করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। গত মঙ্গলবার এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হলেও কোনও যৌথ বিবৃতি আসেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কূটনীতিক সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, মিয়ানমারের মিত্র হিসেবে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চীন ও অস্থায়ী সদস্য ভিয়েতনাম বিবৃতি দেওয়ার বিরোধিতা করে।  গত ২৩ জানুয়ারি জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারালয় আইসিজে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা নিশ্চিতে চারটি অন্তর্র্বতীকালীন আদেশ ঘোষণা করে। এগুলো হলো- ০১. রোহিঙ্গাদের হত্যা, মানসিক ও শারীরিক নিপীড়ন ও ইচ্ছাকৃত আঘাত করা যাবে না। ০২. গণহত্যার আলামত নষ্ট করা যাবে না। ০৩. গণহত্যা কিংবা গণহত্যার প্রচেষ্টা বা ষড়যন্ত্র না করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ। ০৪. সেখানে পরিস্থিতি উন্নয়নে নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে চারমাসের মধ্যে আদালতে মিয়ানমারকে প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে হবে। জাতিসংঘসহ পশ্চিমা দেশগুলো এই আদেশ বাস্তবায়নে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তবে গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে নেপিদো। মঙ্গলবার আলোচনার পর নিরাপত্তা পরিষদের ইউরোপীয় সদস্য দেশগুলো যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। এতে মিয়ানমারকে আইসিজের আদেশ বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়ে বলা হয়, আন্তর্জাতিক আইনে এটা মেনে চলা বাধ্যতামূলক। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মিয়ানমারকে অবশ্যই রাখাইনের পাশাপাশি কাচিন ও শান প্রদেশের সংঘাতের মূল অনুসন্ধান করতে হবে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মানবাধিকার ও মানবিক আইন ভঙ্গের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে’।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরদার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তারা রাখাইনে হত্যাকাণ্ড, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ শুরু করলে জীবন বাঁচাতে নতুন করে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এই নৃশংসতাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর আইসিজেতে মামলা করে গাম্বিয়া। ওই মামলার প্রেক্ষিতে গত ২৩ জানুয়ারি অন্তর্র্বতী আদেশ দেয় মিয়ানমার।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ