শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

প্রধানমন্ত্রীর চার দিনের সফরে ইতালি গমন

গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালির উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগের প্রাক্কালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ, কূটনৈতিক কোরের ডিন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনী প্রধানগণ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা তাকে বিদায় জানান -পিআইডি

স্টাফ রিপোর্টার: ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতের আমন্ত্রণে চার দিনের সরকারি সফরে রোমের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ‘বিজি-১২০১’ ভিভিআইপি ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়েন তিনি।
বিমানটি স্থানীয় সময় বিকেল সোয়া ৪টায় রোমের ফিয়ামিসিনো বিমানবন্দরে নামবে। মিনিস্টার প্লেনিপোটেনসিয়ারি অব ইটালিয়ান ফরেন মিনিস্ট্রি এবং ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাবেন।
বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে, মোটর শোভাযাত্রা নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে পার্কো দেই প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পায় নিয়ে যাওয়া হবে। ইতালির রাজধানীতে সফরকালে তিনি সেখানে অবস্থান করবেন।
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে আমিরাত এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে মিলান মালপেন্সা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা হবেন। শেখ হাসিনা ৮ ফেব্রুয়ারি দুবাই হয়ে বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকালে ঢাকা ও রোমের মধ্যে তিনটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইতালির হাতে তিনটি খসড়া চুক্তি রয়েছে। তারা যদি প্রধানমন্ত্রীর সফরকালের মধ্যে এগুলো চূড়ান্ত করতে পারে, তবে এই সফর চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হবে।’
মোমেন আরো বলেন, প্রস্তাবিত চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে সাংস্কৃতিক বিনিময়, রাজনৈতিক আলোচনা এবং কূটনৈতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা।
পরপর তিনবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ইউরোপের কোন দেশে শেখ হাসিনার এটাই প্রথম সফর উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে তাঁর এই সফর বাংলাদেশের অর্থনীতি ও এর চলমান উন্নয়নের জন্য লাভজনক হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এই সফরটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করছে। কারণ এ সফরে বাংলাদেশে ইতালীয় উদ্যোক্তাদের নতুন বিনিয়োগের সন্ধান, ইতালিতে আরও বিভিন্ন পণ্য রফতানি এবং দক্ষ জনশক্তি রফতানির ক্ষেত্র অনুসন্ধান করার প্রয়াস চালানো হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ