বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

সুন্দরবনে পাখিশুমারি চান সংশ্লিষ্টরা

খুলনা অফিস : পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শ্বাসমূলীয় বন সুন্দরবন। সুন্দরবনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে রয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের নাম। এছাড়াও বনভূমিটিতে রয়েছে নানান ধরনের পাখি, চিত্রল হরিণ, কুমির, ডলফিন, সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণী। তাই সুন্দরবন দেশ-বিদেশের পর্যটকদের জন্য বিনোদন ও গবেষণার স্থান। ৬ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৪ হেক্টরের এ সুন্দরবনে কত প্রজাতির এবং কী পরিমাণ পাখি আছে- তা নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। পরিবেশের বৈরি আচরণ ও মানবসৃষ্ট নানা কারণে কী পরিমাণ পাখি বিলুপ্ত হচ্ছে- সরকারিভাবে সে বিষয়ে কোনও তথ্য উপাত্ত পাওয়া যায় না। সুন্দরবন সংশ্লিষ্টদের মতে, সুন্দরবনের পাখি নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে কিছু জরিপ হলেও সরকারিভাবে এ পর্যন্ত পাখিশুমারি হয়নি। সুন্দরবনের বাঘ নিয়ে নিয়মিত শুমারি হয়। এ অবস্থায় পাখির সুষ্ঠু পরিসংখ্যান জানতে সরকারিভাবে পাখিশুমারি করা প্রয়োজন। অনেক প্রজাতি ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়েছে। যেসব পাখি টিকে রয়েছে তারাও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কতটা হুমকির মুখে রয়েছে সে বিষয়ে জানা ও প্রয়োজনীয় করণীয় নির্ধারণে সরকারীভাবে এ বনে পাখিশুমারি জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মইনুদ্দিন খান বলেন, সুন্দরবনে পাখি নিয়ে ২০১৪ সালে ইন্টিগ্রেডেট রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট প্লান (আইআরএমপি) এর সর্বশেষ একটি জরিপ হয়। ওই জরিপের হিসেব মতে সুন্দরবনে ৩২০ প্রজাতির পাখি রয়েছে। তবে, কোন পাখি কী পরিমাণে রয়েছে তার হিসেব নেই। সুন্দরবনে ৩টি অভয়ারণ্য রয়েছে পশুপাখির জন্য। আর ডলফিনের জন্য রয়েছে আরও ৩টি অভয়ারণভ্য। সেখানের বনেও পাখি সুরক্ষায় থাকে। বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মদিনুল আহসান বলেন, সুন্দরবনের পাখি নিয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনও শুমারি করা হয়নি। এ বনের পাখির যে হিসাব পাওয়া যায় তা বিভিন্ন ব্যক্তির জরিপের চিত্র। সামগ্রিকভাবে এ বনের পাখির হিসাব জানতে সরকারীভাবে পাখিশুমারি হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ