শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বাস চাপায় রাজীবের মৃত্যু ॥ দুই চালকের বিরুদ্ধে চার্জশিট

স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বেপরোয়া দুই বাসের চাপায় সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই বাসচালককে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশ। পরে চার্জশিট গ্রহণের জন্য ১১ মার্চ দিন ধার্য করেন আদালত।
গতকাল রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম ইলিয়াস মিয়ার আদালতে দুই বাসচালকের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক ইদ্রিস আলী চার্জশিট জমা দেন। দুই চালক হলেন- বিআরটিসি বাসচালক ওয়াহিদ ও স্বজন পরিবহনের বাসচালক মো. খোরশেদ। পরে আদালত চার্জশিট গ্রহণের জন্য ১১ মার্চ দিন ধার্য করেন।
২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় সার্ক ফোয়ারার কাছে বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন। হোটেল সোনারগাঁওয়ের বিপরীতে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে পৌঁছলে হঠাৎ পেছন থেকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বি আরটিসির বাসটি ঘেঁষে অতিক্রম করে। এ সময় দুই বাসের চাপে গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজীবের ডান হাত কনুইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রাজীব। এতে তার মাথাতেও প্রচণ্ড আঘাত লাগে।
দুর্ঘটনার পর তাকে প্রথমে শমরিতা হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ১০ এপ্রিল ভোর পৌনে ৪টায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন রাজীব। এরপর ওইদিন সকাল ৮টায় তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। পরে ১৭ এপ্রিল তিনি মারা যান।
মৃত্যুর আগে ২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় পেনাল কোডের ২৭৯/৩৩৮-এর ‘ক’ ধারায় মামলা করেন রাজীব (মামলা নম্বর ১১(৪)১৮)। ২৭৯ ধারার সর্বোচ্চ শাস্তি তিন বছর ও ৩৩৮ ধারার সর্বোচ্চ শাস্তি দুই বছরের জেল রয়েছে। মামলার পরই বি আরটিসি বাসচালক ওয়াহিদ ও স্বজন পরিবহনের বাসচালক মো. খোরশেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা জামিনে রয়েছেন। রাজীবের মৃত্যুর পর বেপরোয়া যান চালিয়ে হত্যার অভিযোগের একটি ধারা ওই মামলায় যুক্ত করার আবেদন করে শাহবাগ থানা পুলিশ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ