শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

তামিমের ট্রিপল সেঞ্চুরিতে চালকের আসনে ইস্ট জোন

স্পোর্টস রিপোর্টার : লংগার ভার্সন ক্রিকেটে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরির করলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) তৃতীয় দিনে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সেন্ট্রল জোনের বিপক্ষে ইস্ট জোনের  হয়ে  ট্রিপল সেঞ্চুরির করেন তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় দিন শেষে ২২২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। গতকাল  ইনিংসের ১৩৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ট্রিপল সেঞ্চুরি পুর্ন করেন তামিম।  ৪০৭ বল মোকাবেলায় ৪০টি বাউন্ডারির সহায়তায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন তিনি। 

তামিমের আগে দেশের ক্রিকেটে প্রথম শ্রেনিতে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন রকিবুল হাসান।  ২০০৭ সালে জাতীয় লিগে ফুতল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে বরিশাল বিভাগের হয়ে সিলেটের বিপক্ষে অপরাজিত ৩১৩ রান করেছিলেন রকিবুল। তার ৬০৯ বলের ইনিংসে ৩৩টি চার ছিলো। ১৩ বছর পর দেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ট্রিপল সেঞ্চুরি করলেন তামিম।  তামিমের ট্রিপল সেঞ্চুরির পর ২ উইকেটে দলীয় ৫৫৫ রানে  নিজেদের ইনিংস ঘোষনা করে ইস্ট জোন। ৫৮৫ মিনিট ব্যাট করে ৪২৬ বলে ৪২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম। বড় দৈর্ঘ্যর ম্যাচে এটিই তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। তার আগের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসটি ছিলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ডাবল-সেঞ্চুরি পুর্ন করে ২০৬ রানে আউট হন তিনি। ২৭৮ বলের ইনিংসে ১৭টি চার ও ৭টি ছক্কা হাকিয়েছিলেন তিনি।  এর আগে গতকাল, ওয়ানডে স্টাইলে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ১২৫ বলে ১৬তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন তামিম। পরে ২৪২ বলে ডাবল-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।  তামিমের ইকবালের ট্রিপল সেঞ্চুরিতে তৃতীয় দিন শেষে সেন্ট্রাল জোনের বিপক্ষে চালকের আসনে ইস্ট জোন। 

তামিমের অপরাজিত ৩৩৪ রানের কল্যাণে ২ উইকেটে ৫৫৫ রানের পাহাড় গড়ে প্রথম ইনিংস ঘোষনা করে ইস্ট জোন। ফলে প্রথম ইনিংস থেকে ৩৪২ রানের লিড পায় ইস্ট জোন।  প্রথম ইনিংসে ২১৩ রান করেছিলো সেন্ট্রাল জোন। পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দিন শেষে ৩ উইকেটে ১১৫ রান করেছে সেন্ট্রাল জোন। ইনিংস হার এড়াতে ৭ উইকেট হাতে নিয়ে আরও ২২৭ রান করতে হবে সেন্ট্রাল জোনকে। তামিমের অপরাজিত ২২২ ও মোমিনুলের ১১১ রানের সুবাদে দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ৩৯৫ রান করেছিলো ইস্ট জোন। ফলে ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ১৮২ রানে এগিয়ে ছিলো ইস্ট জোন। তামিমের সাথে ২২ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেন ইয়াসির আলি। দিনের শুরু থেকে ব্যাট হাতে আধিপত্য বিস্তার করে খেলাতামিম ও ইয়াসির জুটি  প্রথম সেশনে অবিচ্ছিন্ন থেকে যান। তামিম ২৭৯ ও ইয়াসির ৪৫ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন-বিরতিতে যান। 

বিরতি থেকে ফিরে ৪০টি বাউন্ডারির সহায়তায় ৪০৭তম বলে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ট্রিপল সেঞ্চুরি পুির্ন করেন তামিম। তামিমের ট্রিপল সেঞ্চুরির পর ২ উইকেটে ৫৫৫ রানে নিজেদের ইনিংস ঘোষনা করে ইস্ট জোন।  ৫৮৫ মিনিট ব্যাট করে ৪২৬ বলে ৪২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম।

 বড় দৈর্ঘ্যর ম্যাচে এটিই তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। এমনকি দেশের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের মালিকও হলেন তামিম। ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৭২ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন  ইয়াসির। সেন্ট্রাল জোনের শুভাগত ও মুকিদুল ১টি করে উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দিন শেষে ৩ ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছে সেন্ট্রাল জোন। দুই ওপেনার সাইফ হাসান ৩৩-সৌম্য সরকার ৪ ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৪ রান করে আউট হন। রকিবুল হাসান ১৬ ও শহিদুল ইসলাম ৭ রানে অপরাজিত আঝেন । ইস্ট জোনের নাইম ৩৬ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন।     

সংক্ষিপ্ত স্কোর কার্ড (তৃতীয় দিন শেষে) :

সেন্ট্রাল জোন : ২১৩ ও ১১৫/৩, ৪০ ওভার (শান্ত ৫৪, সাইফ ৩৩, নাইম ২/৩৬)।

ইস্ট জোন : ৫৫৫/২ ডি, ১৩৯.৫ ওভারে (তামিম ৩৩৪*, মোমিনুল ১১১, মুকিদুল ১/৭১)। 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ