বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ বাংলাদেশের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ

স্পোর্টস রিপোর্টার : পাকিস্তান সফরে প্রথম দু’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হেরে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ  হেরেছে বাংলাদেশ। আজ সফরের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এই ম্যাচে হারলেই হোয়াটওয়াশ হবে বাংলাদেশ। তবে আজ শেষ ম্যাচ জিতে হোয়াইটওয়াশ লজ্জা এড়াতে মাঠে নামবে টাইগাররা। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি- টোয়েন্টি। তৃতীয়বারের মত তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশের মুখে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টিতে প্রথম দু’ম্যাচ হেরে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে টাইগাররা। নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে তিন ম্যাচের সিরিজে দু’বার হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমবার নিউজিল্যান্ডের কাছে এবং দ্বিতীয় ও শেষবার আফগানিস্তানের কাছে। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। ঐ তিন ম্যাচে বাংলাদেশের হার ছিলো যথাক্রমে - ৬ উইকেট, ৪৭  ও ২৭ রানে। ফলে আজ হোয়াইটওয়াশ এড়াতে মাঠে নামবে বাংলাাদেশ। পাকিস্তান সফরে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে  ৫ ও ৯ উইকেটে  হারে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে ১৪১ রান করেও বোলারদের নৈপুন্যে লড়াই করেছিলো টাইগাররা। যে কারণে  শেষ ওভারে গিয়ে ম্যাচ জিততে হয়েছে পাকিস্তানকে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে  লড়াইয়ের ছিটেফোটাও দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ৬ উইকেটে মাত্র ১৩৬ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। আর সেটি টপকাতে বেশি ঝামেলায় পড়তে হয়নি পাকিস্তানকে। অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ২০ বল বাকি রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। বাবর ৪৪ বলে ৬৬ ও হাফিজ ৪৯ বলে ৬৭ রান করেন। বিপিএলে ভালো করলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দু’ম্যাচে বাংলাদেশের পারফরমেন্স ছিলো হতাশাজনক। ব্যাটসম্যানরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে  পারেননি। বড় জুটি বা বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হন তারা। বোলাররাও ব্যর্থ ছিলেন উইকেট শিকারে। দু’টি ম্যাচেই একই উইকেটে খেলেছিলো বাংলাদেশ। তবে পাকিস্তানের উইকেট নিয়ে সমালোচনা হয়েছে ব্যাপক। পাকিস্তানের সাবেক খেলোয়াড়রাও সমালোচনা করতে ভুল করেননি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে  সাফল্যের জন্য  সাধারনত পাওয়ার প্লে কিংবা ডেথ ওভারে বড় স্কোর গড়া প্রয়োজন। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে বা ডেথ ওভারে রান তুলতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তাতে বড় সংগ্রহও পায়নি টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে মাত্র ৩৫ রান তুলতে পারেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ও তামিম ইকবাল। দ্বিতীয় ম্যাচে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৩ রান পায় টাইগারা। তামিম-নাইম পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে না পারায় বড় সংগ্রহের ভিত পায়নি বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে বাংলাদেশের পক্ষে তামিমই বড় স্কোর করেছেন। দুই ম্যাচে তার রান ছিলো যথাক্রমে - ৩৯ ও ৬৫ । তবে বেশ ধীরলয়ে রান তুলেছেন তামিম। যা নিয়ে অনেক সমালোচনাও হয়েছে। দু’ইনিংসেই রান আউট হয়েছেন তামিম। যাই হোক, বাংলাদেশের পক্ষে দু’ম্যাচে ব্যাট হাতে একমাত্র তামিমই ধারাবাহিক ছিলেন। অন্য ব্যাটসম্যানরা বিপিএলের ফর্ম এখানে দেখাতে পারেননি। তবে প্রথম দু’ম্যাচের স্মৃতিকে ভুলে জয় দিয়ে পাকিস্তানের প্রথম পর্ব শেষ করতে মরিয়া বাংলাদেশ দল। গতকাল লাহোরে বাংলাদেশের পেসার শফিউল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন আমাদের ভুলগুলো সংশোধন করা ও ভালো কিছু নিয়ে সফর শেষ করার সময় এসেছে। পাকিস্তান আমাদের চেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলেছে। আমরা মাঠে কিছু ভুল করেছি। প্রথম ম্যাচে আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াই করেছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে বাবর ও হাফিজ ভালো ক্রিকেট খেলে আমাদের লড়াই থেকে ছিটকে দেয়। আশা করছি, কাল আমরা ভালো ক্রিকেট খেলবো এবং জিততে পারবো।’ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখন অবধি ১২টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। এরমধ্যে পাকিস্তানের জয় ১০টি। বাংলাদেশের জয় ২টি। তাই কাল জিতে, পাকিস্তানের সাথে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর সুযোগ থাকছে বাংলাদেশের সামনে। সুযোগ থাকছে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোরও।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ