এশিয়ার তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে মালিকের অবিশ্বাস্য রেকর্ড
পাকিস্তান দলের বর্তমান কোচ ও প্রধান নির্বাচক মিসবাহ উল হকের সঙ্গে দলের অলরাউন্ডার শোয়েব মালিকের একটি অদ্ভুত বিষয় রয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৯৯৯ সালে অভিষেক হয়েছিল মালিকের। আর মিসবাহর অভিষেক ২০০১ সালে। মজার বিষয় হচ্ছে মিসবাহ খেলা ছেড়ে এখন কোচের ভূমিকায় থাকলেও এখনো খেলে বেড়াচ্ছেন মালিক।
সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে মালিককে প্রশ্ন করলে উত্তরে তিনি বলেন, ‘দেখুন, পৃথিবীতে এমন কেউ নেই যে বলতে পারে সে সবকিছু শিখে ফেলেছে। শেখার কিন্তু কোনো শেষ নেই। খারাপ সময় যায়, ভালো সময় যায়, ওই শেখার প্রক্রিয়া কিন্তু কোথায়ও যায় না। আমরা খুব দ্রুতই যে কারো পেছনে পড়ি। একদিনেই আমরা ফলাফল চাই। এভাবে তো হয় না। কাউকে যদি সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে কিছুটা অপেক্ষা করা উচিত। আমাদের মসলা দরকার। কিন্তু দেশের জন্য কিছুটা অপেক্ষা করতে হয়।’
শুক্রবার বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও খেলেছেন মালিক। এটি তার নতুন বছরের প্রথম ম্যাচ ছিল। পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার নতুন দশক মিলে মোট চার দশকে ক্রিকেট খেলছেন। এর আগে এমন বিরল রেকর্ড ছিল এশিয়ার কেবল দুজনের। তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে অবিশ্বাস্য কীর্তি গড়লেন মালিক।
মালিক মাত্র অষ্টম ক্রিকেটার হিসেবে চারটি দশকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। চারটি ভিন্ন দশক জুড়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার কাজটা বেশ কঠিন। আধুনিক ক্রিকেটে মালিক ছাড়া আর যে দুজন কাজটা করেছেন তারা দুজনই উপমহাদেশের-ভারতের শচীন টেন্ডুলকার ও শ্রীলঙ্কার সনাথ জয়াসুরিয়া। তাদের আগে এ কাজ করতে পেরেছেন উইলফ্রেড রোডস, ব্রায়ান ক্লোজ, ফ্র্যাঙ্ক উলি, জ্যাক হবস ও জর্জ গান।