শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

শাহজাদপুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই চলছে যত্রতত্র এলপি গ্যাসের ব্যবসা

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা : কোনো প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় চলছে এলপি গ্যাসের রমরমা ব্যবসা। উপজেলার ছোট-বড় বিভিন্ন বাজারের শতাধিক দোকানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে তরলকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি সিলিন্ডার। শুধু ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এ জ্বালানির ব্যবসা চালানো হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে অনুমোদনহীন এলপিজি সিলিন্ডারের দোকান শাহজাদপুর উপজেলায় বাড়ছে। জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লার মুদি দোকান, ফার্নিচারের দোকান, ইলেকট্রনিক্সের দোকান, রিকশা গ্যারেজ, এমনকি ফ্ল্যাক্সিলোডের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। কোথাও কোথাও গ্যাস সিলেন্ডার আর ডিজেল, পেট্টোল একসাথে বিক্রি করছে যা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু এসব দোকানে নেই কোনো আগুন নির্বাপক যন্ত্র। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে নেই প্রতিকারের ব্যবস্থা। জনবহুল কিংবা আবাসিক এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্যবসার কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে প্রতিনিয়ত। জ্বালানি অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী, যেসব প্রতিষ্ঠান এলপি গ্যাস বিক্রি করবে, তাদের বিক্রির স্থান সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রেখে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাতে হবে। গ্যাস বিক্রির স্থানে কমপক্ষে পাকা ফ্লোরসহ আধপাকা ঘর, অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার, মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। এ ছাড়া থাকতে হবে জ্বালানি অধিদপ্তরের অনুমোদন। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, হাতেগোনা দু-একজন ব্যবসায়ী ছাড়া অন্য কারও নেই সুরক্ষা ব্যবস্থা। এসব ব্যবসায়ীরা সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। বাড়তি লাভের আশায় দোকানের বাইরে ফুটপাতে রোদে ফেলে রাখা হয়েছে এসব সিলিন্ডার। রাস্তার কিনারে রাখা এসব সিলিন্ডারের পাশ ঘেঁষেই চলছে দ্রুতগামী যানবাহন। এ ছাড়া নকল সিলিন্ডারে গ্যাস সরবরাহ, ওজনে কমসহ বাড়তি দাম নেওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক গ্রাহক। জামিরতা বাজারের জনৈক ব্যবসায়ী বলেন, যত্রতত্র এলপি গ্যাসের ব্যবসার কারণে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে এসব ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সংশ্নিষ্টদের এখনই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এদিকে দোকানিদের পাশাপাশি গ্রাহকদের মাঝেও গ্যাস সিলিন্ডার পরিবহনে উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে। রাস্তায় গড়িয়ে, মোটরসাইকেল কিংবা বাইসাইকেলে করে অনেককে গ্যাস সিলিন্ডার পরিবহন করেন অনেকে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা বলেন, এ ব্যাপারে তার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে এলপিজি সিএল কোম্পানিকে বলে দেবেন। আর ট্রেড লাইসেন্সের ব্যাপারেও সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ