শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

এমন নিরাপত্তা আগে কখনও দেখিনি--মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ

স্পোর্টস রিপোর্টার : আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সফর নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। নিরাপত্তার প্রশ্নে বাতিল হওয়ার পথে ছিল এই সফরটি। তবে পাকিস্তানে যাওয়ার পর দেখা গেছে উল্টো চিত্র। বাংলাদেশের সফর ঘিরে নিরাপত্তাবলয় গড়ে তুলেছে পাকিস্তান। ১০ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব দিয়েছে পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়াও সিরিজ চলাকালীন দায়িত্বে থাকবেন ১৭ এসপি, ৪৮ ডিএসপি, ১৩৪ ইনসপেক্টর ও ৫৯২ জন আপার সাবঅর্ডিনেট। বুধবার রাতে বিমানবন্দর থেকে হোটেলে এবং গতকাল দুপুরে হোটেল থেকে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুশীলনে যাওয়া-আসার সময় ক্রিকেটারদের নেওয়া হয় বুলেটপ্রুফ গাড়িতে। রাস্তার চারপাশ নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো তো ছিলই। 

বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলছেন, এমন নিরাপত্তা কখনোই দেখেননি তিনি। পাকিস্তানে নিরাপত্তা বিষয়ে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘এমন নিরাপত্তা আগে দেখিনি। এই মুহূর্তে এটা (নিরাপত্তা ব্যবস্থা) অনেক উপভোগ করছি। নিরাপত্তার দিক থেকে বলব, পাকিস্তান আমাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিচ্ছে। আমি সব ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্ট।’ যদিও নিরাপত্তা নিয়ে খুব একটা ভাবনাও নেই মাহমুদউল্লাহর, ‘আমরা নিরাপত্তা নিয়ে এতটুকুও ভাবছি না। প্লেনে ওঠার আগে দেশেই ওটা রেখে এসেছি। এই মুহূর্তে পাকিস্তানের মাঠে ভালো ক্রিকেটে খেলারই শুধু চিন্তা করছি। ভালো একটি সিরিজ উপহার দিতে চাই সবাইকে।’ পাকিস্তান সুপার লিগ (পিসিএল) খেলতে ২০১৮ সালে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। আবারও দেশটিতে গিয়ে ভালো লাগছে তার। তিনি বলেন, ‘ভালো লাগছে পাকিস্তানে এসে খেলতে পেরে। আমার মনে হয়, এখানে ক্রিকেট খেলার পরিবেশ খুবই ভালো। আমরা এখানে ভালো ক্রিকেট খেলতে উন্মুখ।’ নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তানে বেশির ভাগ সময় ‘বন্দি’ পরিবেশে থাকতে হবে। তবে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘শুরুতেই বলেছি, বিমানে ওঠার আগেই সব চিন্তা ফেলে এসেছি। বোর্ড যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন থেকে আমরা নিরাপত্তা বিষয় বাদ দিয়ে খেলা নিয়ে চিন্তা করছি। আমার কাছে মনে হয়, এখন ওই চিন্তা-ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। দলের প্রতিটা খেলোয়াড় ওইভাবেই চিন্তা-ভাবনা করছে। আমরা শুধুমাত্র এখানে ভালো পারফরম্যান্স করার জন্য এসেছি।’ তরুণ ক্রিকেটার আফিফ হোসেন, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, আমিনুল ইসলামের মতো তরুণদের সামর্থ্যে ভরসা করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দলে অভিজ্ঞতারও কোনো ঘাটতি নেই। পাকিস্তানে সিরিজ জিততে দরকার একটা দল হিসেবে নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলা। অধিনায়ক বলেন, ‘বিপিএল যদি দেখে থাকেন, সেখানে পারফর্ম করা দারুণ এক ঝাঁক তরুণ আছে আমাদের। ওই তরুণদের ওপর আমরা নির্ভর করব। অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররাও আছে দলে; আমি, সৌম্য, তামিম, মোস্তাফিজ, রুবেল অনেক দিন থেকে খেলছি। আল আমিন, শফিউলরাও। আমার মনে হয়, তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার দারুণ মিশ্রণ আছে আমাদের। এখন প্রয়োজন ব্যক্তিগত ও দলগতভাবে আমাদের খেলা নিয়ে ভাবা। তাহলে ভালো পারফরম্যান্স সম্ভব।’ বিপিএলে ভালো করে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। নাজমুল হোসেন শান্ত টুর্নামেন্টে একমাত্র স্থানীয় ক্রিকেটার হিসেবে করেছেন সেঞ্চুরি। আরও পরিণত হওয়ার আভাস মিলেছে লিটন দাসের ব্যাটিংয়ে। আন্দ্রে রাসেলের মুগ্ধতা কুড়িয়েছেন আফিফ। সব মিলিয়ে তরুণরাই এবার অধিনায়কের বাজি। মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘এই তরুণরা ঘরোয়া ক্রিকেট ও বিপিএলে পারফর্ম করেছে। তাদের সামনে এটি ভালো সুযোগ নিজেদের মেলে ধরার। আমার ধারণা, এরা সুযোগের জন্য মুখিয়ে আছে।’ এরপর একই ভেন্যুতে আগামী ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি খেলবে শেষ দুই ম্যাচ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ