শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

চট্টগ্রামে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী পালিত

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিপ্লব উদ্যানে পুস্পস্তবক অর্পণ করছেন ডা. শাহাদাত হোসেন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার ছিলেন। ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার এক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী ও রাজনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্রে অধিষ্ঠিত হন। ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাদাত মো. সায়েম পদত্যাগের পর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালের ৩ জুন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে  রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন শহীদ জিয়া। রাষ্ট্রপতি হিসেবে শহীদ জিয়ার সাফল্য বহুবিধ। শহীদ জিয়া নানা সংকটে বিধ্বস্ত “তলাবিহীন জুড়ি” আখ্যাপ্রাপ্ত বাংলাদেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় অধিষ্ঠিত করে দেশের ইতিহাসে একজন সফল ও মহান রাষ্ট্রনায়কের খ্যাতি লাভ করেছিলেন। তিনি গতকাল ১৯ জানুয়ারী রবিবার সকালে নগরীর বিপ্লব উদ্যানে শহীদ রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন। ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, শহীদ জিয়া দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এনেদিয়েছিলেন। বাংলাদেশের আত্মসামাজিক উন্নয়নকল্পে ব্যাপক ভিত্তিতে কর্মসূচী গ্রহণ করে সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন, আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন এবং জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে পল্লী উন্নয়ন, দ্রুততর প্রবৃদ্ধি, জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ, খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ইত্যাদি লক্ষ্যকে সামনে রেখে শহীদ জিয়া ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, আমরা এমন একটি সময়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী পালন করছি দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা নেই, গণতন্ত্র নেই, আইনের শাসন নেই, যেখানে মিথ্যা মামলায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বশবর্তী হয়ে তিন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দী করে রেখেছে একদলীয় আওয়ামী সরকার। এই স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্ত হতে হলে সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে এগিয়ে এসে দেশের গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ