বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটানোর ষড়যন্ত্র চলছে

চট্টগ্রাম ব্যুরো : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মরহুম মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন একজন সৈনিক হয়েও তিনি ছিলেন আলাদা একজন মানুষ। একজন জনপ্রতিনিধির চেয়েও জনগণের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল আরও গভীর এবং নিবিড়। সরাসরি রাজনীতি করেননি, কিন্তু একজন রাজনীতিকের যে গুণাবলী থাকা দরকার, তার চেয়ে অনেক বেশি কমিটমেন্টসম্পন্ন, তার চেয়ে অনেক বেশি গুণাবলীতে সমৃদ্ধ পরিপূর্ণ একজন মানুষ ছিলেন জেনারেল আবেদীন। একজন রাজনীতিকের জীবনে মানুষের ভালোবাসার চেয়ে বড় সম্পদ আর কিছু নেই। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি মেহেরুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক নাগরিক শোকসভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, জেনারেল আবেদীন দেশকে এবং দেশের মানুষকে ভালোবেসে, মুক্তিযুদ্ধকে ভালোবেসে জাতির পিতার পুষ্পিত আদর্শের পতাকাকে সমুন্নত রাখার জন্য কাজ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাকে সত্যিকারের সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করার জন্য আপসহীন কান্ডারি শেখ হাসিনা উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে অবিরাম যে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন, সেই সংগ্রামের বিশ্বাসযোগ্য সাথী ছিলেন জেনারেল আবেদীন। তাকে আমি দেখেছি নেত্রীর আশপাশে সব সংকটের সময়, ক্রাইসিস ম্যানেজার হিসেবে। সকল ক্রাইসিসে আবেদীন ছুটে আসতেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের কর্মীদের এবং জনগণের সরাসরি সেতুবন্ধন রচনা করেছিলেন জেনারেল আবেদীন।
মরহুম এই সেনা কর্মকর্তার ওপর প্রধানমন্ত্রীর নির্ভরতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, নেত্রীর একটা কথা বারবার মনে পড়ে। নেত্রী বলতেন- আমাকে যদি কখনো না পাও, টেলিফোনে না পাও, আবেদীনের কাছে ম্যাসেজ দেবে। সময়মতো আবেদীন আমাকে জানাবে। সেটাই হয়েছিল বার বার। কোনো বার্তা দিতে হলে, নেত্রীকে না পেলে জেনারেল আবেদীনের কাছে দিতাম। আজ আবেদীন নেই, কার ওপর বিশ্বাস করে নেত্রীর কাছে বার্তা দেব, জানি না।
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটানোর ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাতাসে বারুদের গন্ধ, বাতাসে ষড়যন্ত্রের গন্ধ। আন্দোলন-নির্বাচনে যারা নেত্রীকে পরাজিত করতে পারেনি, তারা আজ ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। ষড়যন্ত্রের চোরাই পথে তারা আজ বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ক্ষমতা থেকে হটাতে চায়। আজকের এই দুঃসময়ে, এই সংকটের মুহূর্তে, এই চ্যালেঞ্জের মধ্যে জেনারেল আবেদীনের খুব প্রয়োজন ছিল নেত্রীর পাশে একজন বিশ্বস্ত সহকর্মী হিসেবে।
তিনি বলেন, পেশাগত জীবনের গণ্ডি পেরিয়ে জনগণের সঙ্গে অবাধে মিশে যেতে পারতেন। আমরা রাজনীতিকরা নির্বাচনের আগে মানুষকে কাছে টানি। প্রতিশ্রুতির রঙিন বেলুন উড়াই। মনে হয় কত আপন, কত জনদরদী ! নির্বাচন চলে গেলে আমরা সবকিছু অবলীলায় ভুলে যাই, প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে যাই। নির্বাচনের সময় মানুষের কাছে গিয়ে জনদরদীর মতো আমরা অভিনয় করি।
মরহুমের বড় ভাই ইসমাঈল হোসেন মানিকের সভাপতিত্বে শোকসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, অর্থ সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, ত্রাণ ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সাংসদ কানিজ ফাতেমা, সাইমুম সরওয়ার কমল ও আশেক উল্লাহ রফিক এবং স্থানীয় সাংসদ আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ