রাজশাহীতে প্রশাসনের দু’টি কর্মচারী সমিতির কর্মবিরতি পালন
রাজশাহী অফিস: রাজশাহীতে সরকারি প্রশাসনের দু’টি কর্মচারী সমিতির সদস্যরা তাদের বিভিন্ন দাবিতে গতকাল সোমবার কর্মবিরতি পালন করেছেন।
বাংলাদেশ বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কর্মচারী সমিতি (বাবিককাকস) রাজশাহীর নেতৃবৃন্দ ও সমিতিভূক্ত সদস্যরা সকাল ১০টার দিকে কর্মবিরতি শুরু করেন। পদবি পরিবর্তন ও বেতন গ্রেড উন্নীতকরণের দাবিতে কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষণায় বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ের কর্মরত কর্মচারিরা একযোগে বিভিন্ন স্থানে এই কর্মসূচি পালন করেন। সমিতি চলতি মাসের সোমবার ও মঙ্গলবার ২ ঘন্টা, বুধবার ও বৃহস্পতিবার ৩ ঘন্টা, সোমবার ও মঙ্গলবার ৪ ঘন্টা করে কর্মবিরতি পালন করবে বলে জানানো হয়। এছাড়াও ফেব্রুয়ারি মাসের ২৫-২৭ তারিখ মোট ৩ দিন পূর্ণ দিবস কমর্মবিরতি পালন করা হবে। এর মধ্যে দাবী না মানলে ২৮ মার্চ ঢাকায় প্রেস ক্লাবে মহাসমাবেশ এবং সেখান থেকে পরবর্তী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে বলে জানান নেতৃবৃন্দ। এসময়ে বাংলাদেশ বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের কর্মচারি সমিতি রাজশাহী শাখার সভাপতি আলী আজম ও সাধারণ সম্পাদক শাহ জালালসহ সমিতির নেতৃবৃন্দ, সদস্য এবং সাধারণ কর্মচারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময়ে সভাপতি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান সমুহের কর্মচারিদের পদবি পরিবর্তনের জন্য প্রায় দেড় যুগ ধরে তারা দাবি জানালেও আজো তা কার্যকর হয়নি। অথচ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের সমপর্যায়ের কর্মচারিদের পদবি পরিবর্তন ও গ্রেড উন্নীত করে সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি ও আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।
কালেক্টরেট সহকারী সমিতি: বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি রাজশাহী জেলা শাখার আয়োজনে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ের কর্মরত কর্মচারীরাও গ্রেড-১৩ ও ১৬) পদবি পরিবর্তন ও বেতন গ্রেড উন্নীতকরণের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তারা জেলা প্রশাসনের ভবনের সামনে এই কর্মবিরতি পালন করেন। এসময়ে তারা সচিবালয়ের দৈতনীতির সমালোচনা করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান মিজি, সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা বাবু, সহ-সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈকত সরকার, দপ্তর সম্পাদক মাসুদ করিম ও উপদেষ্টা মুন্তাজ আলীসহ সমিতির অন্যান্য সদস্য এবং সাধারণ কর্মচারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভাপতি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান সমুহের কর্মচারিদের পদবি পরিবর্তনের জন্য প্রায় আঠার বছর ধরে তারা দাবি জানালেও আজো তা কার্যকর হয়নি। দ্রুত সময়ে মধ্যে তাদের দাবিসমূহ সরকারকে মেনে নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। না হলে আগামীতে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আরো কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।