ঢাকা,শুক্রবার 26 April 2024, ১৩ বৈশাখ ১৪৩০, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

ধর্ষণের প্রতিবাদে উত্তাল ঢাবি, উপাচার্য ব্যস্ত ক্রিকেট নিয়ে

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক:‘ধর্ষকের বিচার চাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘হ্যাং দ্য রেপিস্ট’, ‘এই ধর্ষণ উপত্যকা আমার দেশ নয়’— এমন স্লোগানে যখন উত্তাল দেশের সেরা বিদ্যাপিঠটি, ঠিক তখনই কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ‘বঙ্গবন্ধু টিচার্স ক্রিকেট লীগ’ উদ্ধোধন করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান। এ সময় তাকে ব্যাট হাতে ক্রিকেটও খেলতে দেখা গেছে। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা গেছে, কেউ একজন বল ছুড়ে মারছে, উপাচার্য সেই বল ক্রিকেটীয় ভঙ্গিমায় খেলার চেষ্টা করছেন। এবং তার পেছনে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ অন্যরা হাততালি দিচ্ছেন।

রাজধানীর শেওড়া এলাকায় গত রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষণিকা বাসে করে বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে কুর্মিটোলা এলাকায় বাস থেকে নেমে ধর্ষণের শিকার হন ওই ছাত্রী। পরে গভীর রাতে ওই ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা হয়েছে।

ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আজ দিনভর আন্দোলনে উত্তাল ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের পাশাপাশি বিচারের দাবিতে ব্যাচভিত্তিকভাবে আন্দোলন-কর্মসূচি করেছেন শিক্ষার্থীরা।

একদিকে যখন আন্দোলন চলছে, অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ক্রিকেট লিগ উদ্বোধন করেন উপাচার্য। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান মো. হাসিবুর রশীদ, শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের উপদেষ্টা অসীম সরকার, শিক্ষক সমিতির নেতা জিয়াউর রহমান প্রমুখ তার সঙ্গে ছিলেন।

আন্দোলনের মধ্যে উপাচার্যের ক্রিকেট লিগ উদ্বোধনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে ছবিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। ছবিটি শেয়ার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপাচার্যের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ।

মুক্তাদির রশীদ রোমিও নামে একজন ভিসির এই ছবি পোস্ট করে লিখেছেন’— ‘বাহ চমৎকার মাননীয় উপাচার্য। আপনিই সেরা। ছাত্রী ধর্ষিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আর করছেন ব্যাটিং। দারুণ স্যার। আপনার প্রতি শ্রদ্ধা আমার আরো বেড়ে গেল। খামাখা ছেলেমেয়েরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে ব্যস্ত। ক্রিকেট খেললে তো অন্তত সময় কাটতো।’

তার এই পোস্টে অনেকেই কমেন্ট (মন্তব্য) করেছেন। কে এম ফাহিম হোসেন নামে একজন কমেন্ট করেছেন’— ‘দেশের সর্বোচ্ছ বিদ্যাপিঠের ভিসিরা এমন হয় কেন?’

কেউ কেউ আবার বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন। পলাশ রহমান নামে একজন লিখেছেন’— ‘একজন ধর্ষিতা হলে বাকিদের খাওয়া, দাওয়া, কাজ-কর্ম, ফেসবুকিং করা, টিভি দেখা, বিচার চাওয়া, আশার বুক বাঁধা কোন কিছুই পড়ে থাকে না। ধর্ষিতার বিচারের দায়িত্ব ঢাবি ভিসির নয়। প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভাবুন, ব্যক্তি হিসেবে নয়।

ডিএস/এএইচ

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ