বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সিইসি জেদ করে জনগণের ওপর ইভিএম চাপিয়ে দিতে চাইছেন -গয়েশ্বর

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন ,সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা থাকলেও আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়ে আমরা জেনেশুনে বিষ পান করছি। গতকাল শুক্রবার জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাস ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন। এসময় বিএনপি'র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাসাস কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা মহানগর নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সিটি নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে গিয়ে গয়েশ্বর বলেন, ‘জনগণ ভোট দিতে পারবে না। তারপরও মনে করে নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের প্রতি শুধু আমাদের না, সারাদেশের মানুষের আস্থা নেই। তারপরও আমরা জেনে শুনে বিষ পান করছি। কারণ আপনাদের মুখ রক্ষা করার জন্য। নির্বাচনে গেলেও সমালোচনা হয়, না গেলেও সমালোচনা হয়। সে কারণে সবাই প্রত্যক্ষ করেন এই নির্বাচন কমিশনের শেষ পর্যন্ত। তারা কি করে এবং একটা সময় আসবে সকলে যখন মুখ ফিরিয়ে নেবেন তখন আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবো এবং কোনো নির্বাচনে যাব না। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত এই যাত্রীদের ক্ষীণ সন্দেহ, গেলে বোধহয় এবার একটু অন্যরকম হতো। ওই জাতীয় নির্বাচনের যা হয়েছে এ নির্বাচনে হয়তো ওটা করত না। কুকুরের লেজ সোজা হয় না কোনদিন। এ নির্বাচন কমিশনের লেজও সোজা হবে না।'
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জেদ করে জনগণের ওপর ইভিএম চাপিয়ে দিতে চাইছেন অভিযোগ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘ইভিএম অনেক আগে আবিষ্কার হয়েছে । বিশ্ব থেকে পার্শ্ববর্তী দেশে ইভিএম পদ্ধতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। পৃথিবীর সব জায়গা থেকে হাকডাক উঠছে ইভিএমে সহজে কারচুপি সম্ভব। তারা ইভিএম পরিত্যাগ করছে। আর আমরা ইভিএম ব্যবহার করছি। সাধারণ মানুষের এ ব্যাপারে কোনো আগ্রহ নেই। এটা নতুন প্রযুক্তি । এ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সম্যক ধারণা নেই। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার উনি জেদ করছেন যে ইভিএম জনগণকে গিলাবেন। সুতরাং একটা নির্বাচন কমিশন যখন জনগণের ইচ্ছার বাইরে জেদ করে চাপিয়ে দেয় তখন বুঝতে হবে এই ইভিএম-এর পেছনে অনেক রহস্য আছে।'
এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, এটাকে তো নির্বাচন কমিশন বলা  যায় না। এটা হল সরকারের ইচ্ছা বাস্তবায়নের একটি প্রতিষ্ঠান। এটাকে নির্বাচন কমিশন বলা হলে নির্বাচন কমিশনকে বিদ্রুপ করা হবে। নির্বাচন কমিশন শব্দটাকে বিদ্রুপ করা হবে।
সিটি নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে কোনো আগ্রহ তৈরি হয়নি মন্তব্য করে গয়েশ্বর আরো বলেন, সিটি নির্বাচন নিয়ে কোনো আবহ তৈরি হয়নি। সেটা হতে পারে বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। হতে পারে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে, এই ফর্ম বেচাকেনা- নেয়া জমা দেয়া এইটা। কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে কোন আগ্রহ ফিরে আসেনি।’ তিনি বলেন,'কারণটা হলো জনগণ যেহেতু ভোট দিতে পারে না সেহেতু নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে কোনো আগ্রহ তৈরি হয়নি।' সিটি নির্বাচন নিয়ে প্রত্যাশা সম্পর্কে গয়েশ্বর বলেন,'আমরা নিকট অতীতে যা দেখছি । তারই প্রতিচ্ছবি। এখানে নির্বাচন বলতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জনগণ ভোট দিতে পারবে সেটা আশা করা যাচ্ছে না।'

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ