শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ভারতে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকায় নিরাপত্তা জোরদার

২৭ ডিসেম্বর, রয়টার্স, এনডিটিভি : ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভ ঠেকাতে বিভিন্ন রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার জুমার নামাজের পর বড় ধরনের সহিংস বিক্ষোভের আশঙ্কায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ১২ ডিসেম্বর ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের পর থেকেই দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ চলছে। এসব বিক্ষোভে-সহিংসতায় নিহত হয়েছে সারাদেশে অন্তত ২৫ জন। এর মধ্যে শুধু উত্তর প্রদেশেই নিহত হয়েছে ২১ জন। গত ২০ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পর রাজ্যটিতে নতুন করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিনই বেশিরভাগ নিহত হয়। একারণে এই শুক্রবার জুমার নামাজের পর বড় ধরনের বিক্ষোভের আশঙ্কায় সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবারের জুমার নামাজের পর আন্দোলন নতুন করে ছড়ানোর আশঙ্কায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষেèৗসহ ২১ জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়েছে। গত সপ্তাহে লক্ষেèৗতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হলেও সেখানে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির রাজধানী দিল্লিসহ বিভিন্ন স্থানে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। কোথাও কোথাও সমাবেশ-জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। উত্তর প্রদেশে এই নিষেধাজ্ঞা এক সপ্তাহ ধরে জারি রয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছে, এসব বিধিনিষেধ সত্ত্বেও জুমার নামাজের পর দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা, আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু ও চেন্নাইয়ে বড় ধরনের বিক্ষোভ হবে আশা করা হচ্ছে।

উত্তর প্রদেশের পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) পিভি রামাশাস্ত্রী বার্তাসংস্থা এএনআই’কে বলেছেন, ‘আমরা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করেছি, মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। একদিনের জন্য বিভিন্ন জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন বিষয়ের ওপরেও আমরা নজর রাখছি।’ বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে নিপীড়নের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব নিশ্চিতে সম্প্রতি আইন সংশোধন করেছে ভারত। সমালোচকরা বলছেন, সংশোধিত এই আইন মুসলিমবিরোধী। এর মাধ্যমে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের ওপর আঘাত করা হয়েছে। আর বিক্ষোভকারী এই আইনকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ