শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সরকার জনগণের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করে মহান বিজয় দিবসের মর্যাদাকে কলংকিত করেছে

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর আ.জ.ম ওবায়েদুল্লাহ্ বলেছেন, ব্রিটিশ থেকে ১৯৪৭ সালের মহান স্বাধীনতা অর্জনের পিছনে বাংলাদেশের সকল দল ও মতের আপামর জনসাধারণ ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে ম্যান্ডেট দিয়েছিল। স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল জাতীয় নেতারা ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছিলেন উক্ত স্বাধীনতা সংগ্রামে। সুদীর্ঘ সিকি শতাদ্বিতে প্রথম বারে অর্জিত স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে তৎকালিন শাসক গোষ্ঠী ব্যর্থ হয়েছিল। বার বার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ভুলুন্ঠিত করে বৈষম্যমূলক শাসন চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষের ভাষার অধিকার পর্যন্ত কেড়ে নেয়া হয়েছিল। জনগণ সকল গণতান্ত্রিক আচরণ, বৈষম্য ও জুলুম নির্যাতনের জবাব দিয়েছিল ১৯৭১ সালের সাধারণ নির্বাচনে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে। গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে সংখ্যাগরিষ্টের সমর্থন পাওয়া আওয়ামীলীগের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে আহবান জানিয়েছিলেন জামায়াতের তৎকালীন আমীর ভাষা সৈনিক অধ্যাপক গোলাম আজমসহ সকল গণতন্ত্রমনা সংগঠন। কিন্তু জনগণের ম্যান্ডেটকে সম্মান জানাতে ব্যর্থ হওয়ায় শুরু হয়েছিল রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ। স্বাধিকার আন্দোলন রূপ নিয়ে ছিলো স্বাধীনতা সংগ্রামে। অনেক ত্যাগ, তিতিক্ষা ও শাহাদাতের বিনিময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জিত হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর-১৯৭১ সালে। বহুদলীয় গণতন্ত্রেও সূচনা হয়েও দেশ আবার স্বৈরাচারী শাসনের কবলে পড়ে। বর্তমান সরকার জনগণের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করে মহান বিজয় দিবসের মর্যাদাকে কলংকিত করেছে। জনগণের বাকস্বাধীনতা হরণের জন্য প্রিন্ট মিডিয়াসহ সকল গণমাধ্যমের অধিকার কেড়ে নেয়ার জন্য হামলা করে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করে মহান বিজয় দিবসের মর্যাদাকে ভুলুন্ঠিত করেছে।
জামায়াত নেতা আ.জ.ম.ওবায়েদুল্লাহ্ স্বাধীনভাবে জনগণের মত প্রকাশের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সকল দল ও মতের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিলে তিনি সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত আহবান জানান।
উক্ত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নগর জামায়াতের শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য এম.আই. চৌধুরী, নগর জামায়াতের শূরা সদস্য খালেদুল আনোয়ার, আবদুল হান্নান ও একরামুল হক প্রমুখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ